সারা বাংলা

কুমিল্লায় সহিংসতা: ৪ মামলার তদন্ত পিবিআইতে

কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির পাড়ের অস্থায়ী দুর্গাপূজার মণ্ডপে পবিত্র কোরআন পাওয়ার নিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি পুলিশের কাছ থেকে হস্তান্তর করা হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই)। ওই চারটির মধ্যে কুমিল্লা নগরীতে সহিংসতায় নিহত দিলীপ কুমার দাসের হত্যা মামলাও রয়েছে। 

বুধবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই, কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।

দিলীপ কুমার দাসের হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত চারজন গ্রেপ্তার হয়েছে। এর মধ্যে দুই আসামির পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশ ওই দুই আসামির সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইরফানুল হক চৌধুরী শুনানি শেষে তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই আসামিরা হলেন— মো. সাইফুল ইসলাম ও বোরহান উদ্দিন। তবে বুধবার (১০ নভেম্বর) বিকেল পর্যন্ত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়নি।

নগরীর মনোহরপুর রাজরাজেশ্বরী কালীমন্দিরে পূজা দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে নিহত হয় দিলীপ দাস। এ ঘটনায় তার স্ত্রী রুপা দাস হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

পিবিআই-তে হস্তান্তর করা অন্য মামলাগুলো হলো— সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলার অভিযোগে দাউদকান্দি থানায় গৌরাঙ্গ ভৌমিক নামে এক ব্যক্তির দায়ের করা মামলা, জেলার দেবিদ্বারের বিহারমন্ডল গ্রামে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় নারায়ন পাল নামে এক ব্যক্তির দায়ের করা মামলা, ঘটনার দিন ফেসবুক ও ইউটিউবে উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগে র্যাব-১১ কুমিল্লার ডিএডি আবু বকর সিদ্দিকের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা। 

বুধবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে দিলীপ দাস হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, পিবিআই কুমিল্লার পুলিশ পরিদর্শক মো. আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, দিলীপ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত চারজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই আসামির পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে আদেশের কপি হাতে না পাওয়ায় এখনও তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়নি। আগামী রোববার তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা সম্ভব হবে। তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান তিনি।

দেশে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা চলাকালে গত ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির পাড়ের ওই পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ পাওয়ার অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।