সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার বিচার আগামী মাস তথা ডিসেম্বরে শেষ হবে বলে সাংবাদিকের জানিয়েছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।
মামলার ৮ম দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়ে ৩৪২ ধারায় আসামিদের পরীক্ষা করার পর ডিসেম্বর বিচার কার্যক্রম শেষ হয়ে রায় দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় মামলার ৮ম দফা সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথমদিন শেষে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর তৎকালীন জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলামের জেরা অসমাপ্ত রেখে ৮ম দফার প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এর আগে সোমবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় ওই মামলার অন্যতম আসামি ওসি প্রদীপসহ ১৫ জনকে কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তায় জেলা জজ মো. ইসমাইলের আদালতে আনা হয়।
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর মেরিনড্রাইভ চেক পোস্টে গুলি করে হত্যা করা হয় অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে।
এ ঘটনায় সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ৫ আগস্ট ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ নয় জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করলে আদালত মামলার তদন্তভার দেয় র্যাবকে। আসামিদের মধ্যে ৭ জন পর দিন কক্সবাজারের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
সিনহা হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন জন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টের দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। টেকনাফ থানার সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
এ মামলায় ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম। মামলায় গ্রেপ্তার ১৪ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। তাদের মধ্যে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল ছাড়া ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এই ১৪ জনের বাইরে টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেবকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়। গত ২৪ জুন দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে তিনিও আত্মসমর্পণ করেন।
২৭ জুন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল মামলার চার্জ গঠন করেন।