কুমিল্লায় কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেলসহ জোড়া খুনের ঘটনায় ইমরান খন্দকার (২০) নামে আরো এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বাড়ি নগরীর সুজানগর এলাকায়।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে জেলার সদর উপজেলার আলেখারচর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পারি কাউন্সিলর সোহেলসহ জোড়া খুনের মামলার এজহারনামীয় ৮ নম্বর আসামি জিসান এই ইমরানের মামাতো ভাই। ঘটনার দিন জিসান ফোনে ইমরানকে তাদের বাসার দিকে যেতে বলে। ইমরান যাওয়ার পর মামলার আসামি শাহ আলম, সাব্বির, জেল সোহেল, সাজেন ও মাসুমসহ অজ্ঞাতনামা আরো দুই/তিনজন লোক দেখতে পায়। তারা তিনটি কালো ব্যাগে অস্ত্র-গুলি ও হাত বোমা ভর্তি করতেছিল। ইমরান এবং জিসান তাদেরকে ব্যাগ ভর্তি করতে সহযোগিতা করে। তারপর ব্যাগ তিনটি ইমরান এবং জিসানকে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। ইমরান এবং জিসান অস্ত্র ও বোমা ভর্তি ব্যাগ তিনটি সংরাইশ এলাকায় রহিম ডাক্তারের গলিতে তাজিহা লজ নামক বাসার ভিতরে ফেলে দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনার পরদিন পুলিশ পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগরীর চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক কায়সার হামিদ বলেন, আমরা ইমরানকে নিয়ে আদালতে রয়েছি। তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।
গত ২২ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সোহেলসহ দু'জন। কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। জোড়া খুনের ঘটনায় গত ২৩ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।