নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর মন্তব্যের কারণে তার দল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ফাটল ধরেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।
তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘আমি কারও কথায় কষ্ট পাই না। আমার দল ঐক্যবদ্ধ। তার (আইভী) মন্তব্যের কারণে তার দলে যে বিশাল ফাটল ধরেছে, এটা জনগণের কাছে পরিষ্কার। শহরে এখন আলোচনা— তিনিই (আইভী) তো তাদের লোকদের সমর্থন পাচ্ছেন না।’
তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘তৈমূর আলম খন্দকার সকলকে নিয়ে মাঠে নেমেছে। আমার জয় হবে এটাই জনগণ বলছে।’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সাতজন মেয়র প্রার্থী এবং কাউন্সিলর প্রার্থীরা ২৭টি ওয়ার্ডে প্রচারণা চালাচ্ছেন। আগামী ১৬ জানুয়ারি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় ২১নং ওয়ার্ডের সালেহনগর এলাকা থেকে গণসংযোগ শুরু করেন আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। আর সকাল ১০টা থেকে ২৭নং ওয়ার্ডের মদনপুর থেকে প্রচারণায় নামে তৈমূর আলম খন্দকার। এই গণসংযোগকালে তৈমূর আলম সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন।
প্রচারণাকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আইভীর বক্তব্যের জবাব দিয়ে বলেন, ‘যদি মনে করেন শামীম ওসমাম আমাকে সমর্থন দেন, আপনাকে সমর্থন দেন না, এটা আপনাদের দলের দ্বন্দ্ব। আপনাদের (আইভী) দলের নেতার সম্পর্কে বিভিন্ন বিশ্লেষণ লাগিয়ে চরিত্র হনন করা হয়।’
নারায়ণগঞ্জের জনগণ যে কারণে সিটি করপোরেশনের প্রয়োজন অনুভব করেছিল, সেই অনুযায়ী মানুষের সেবা বৃদ্ধি পায়নি বলে অভিযোগ করেন প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার। সেলিনা হায়াৎ আইভী বিগত দীর্ঘ বছর ধরে এই সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্বে রয়েছেন।
তৈমূল আলম খন্দকার অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। তাদের হয়রানি করা হচ্ছে।’
২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন গঠিত। নির্বাচনে ৭ জন মেয়র প্রার্থী, ১৪৮ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৪৩ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৪৫১ জন।