চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিদুর্ঘটনায় নিহত ৪৬ জনের মধ্যে ১৯ জনের পরিচয় এখনও মেলেনি।
গত ৪ জুন রাতে সংঘটিত বিস্ফোরণে নিহত হয় ৪৬ জন। তাদের মধ্যে আজ শনিবার (১১ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৭ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ ৭৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান জানান, আজ পর্যন্ত ২৭ জনের পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় তাদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ১৯ জনের মধ্যে ১৫টি লাশ রয়েছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে, ২টি লাশ এভারকেয়ার হাসপাতালের হিমঘরে এবং ২টি লাশ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে।
পরিচয় শনাক্ত না হওয়া ১৯ জনের লাশ শনাক্ত করতে স্বজনদের ডিএনএ নমুনা নিয়েছে পুলিশের সিআইডি’র ফরেনসিক বিভাগ। ফরেনসিক ল্যাবের দায়িত্বে থাকা সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম জানান, ১৯টি লাশ ও নিখোঁজ থাকা ৪ জনসহ মোট ২৩ জনের বিপরীতে ৪২ জন স্বজনের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ডিএনএ রিপোর্ট আসতে এক মাস সময় লাগতে পারে বলে সিআইডি সূত্রে জানা গেছে। ডিএনএ ম্যাচ করে ১৯ লাশের পরিচয় শনাক্ত করা হবে।