পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। যার সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করবে সাগরকন্যা খ্যাত পটুয়াখালীর কুয়াকাটা। তাই পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে আনন্দে মাতছেন কুয়াকাটাবাসী।
পর্যটকদের বাড়তি আকর্ষণের জন্য উদ্বোধনীর দিন (২৫ জুন) থেকে ১৫ দিনের জন্য আবাসিক হোটেলগুলোতে নির্ধারিত ভাড়ার ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ছাড় দিয়েছেন হোটেল মালিকরা। এছাড়া আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত রেস্তোরাগুলোতে থাকছে ২০ শতাংশ ছাড়।
শুক্রবার (২৪ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি শাহ-আলম হাওলাদার ও রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি মো. সেলিম।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি শাহ-আলম হাওলাদার বলেন, ‘পর্যটকদের আকৃষ্টের জন্যই মূলত আমরা ছাড় ঘোষণা করেছি। ইতিমধ্যে অনেক পর্যটকই বুকিং দিতে শুরু করেছেন। আশা করছি পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর কুয়াকাটায় লাখো পর্যটকের আগমন ঘটবে।’
কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, ‘কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের ১৬টি সংগঠনের পেশাজীবীরা সেবা দিয়ে থাকেন। তাই সার্বিক সুযোগ-সুবিধা আমরা আরো উন্নত করবো।’
তিনি আরো বলেন, ‘পদ্মা সেতুর কারণে কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রটি কক্সবাজারকে ছাড়িয়ে যাবে। ইতিমধ্যে বড় বড় কোম্পানি তাদের বিলাসবহুল স্থাপনা তৈরিতে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু করেছে।’
কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক বলেন, ‘পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বেশি পর্যটকের আগমন ঘটলে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’