চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় রাজ-পরী দম্পতির সংসারে জন্ম নিলো বিরল প্রজাতির ৪ সাদা বাঘ শাবক। এ নিয়ে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৬টি।
সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে চিড়িয়াখানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মমিনুর রহমান।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি গত ৩০ জুলাই রাজ ও পরী নামক বাঘ দম্পতি ৪ টি বিরল প্রজাতির সাদা বাঘের জন্ম দিয়েছে। একই দম্পতির ঘরে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ২০১৮ সালে বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া প্রথম সাদা বাঘটি পর্যটকদের জন্য বিশেষ একটি আকর্ষণ। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ১৬টি বাঘ রয়েছে। যার মধ্যে ৫টি বিরল প্রজাতির সাদা বাঘ।’
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের চিড়িয়াখানা/সাফারির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাঘ এখন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়। এছাড়া চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার বর্তমান ব্যবস্থাপনা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে সুদীর্ঘ পরিকল্পনা রয়েছে, যা আপনাদের জানাতে চাই।’
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী জনাব আব্দুল মান্নান এর উদ্যোগে ও জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ও নিবিড় তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম জেলার একমাত্র বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, গবেষণা, শিক্ষা ও বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। কোনো ধরণের সরকারি অনুদান ছাড়াই চট্টগ্রামের কর্মকর্তাদের সুদক্ষ ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা একটি স্বাবলম্বী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন প্রকার অবকাঠামোগত সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এবং নতুন নতুন প্রাণী ক্রয় ও সংগ্রহের মাধ্যমে চিড়িয়াখানাকে আরো সমৃদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও পর্যটন সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে এই চিড়িয়াখানাটিতে ব্যাপক হারে দর্শক সমাগম হচ্ছে।’