কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঈগল পরিবহনের বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় নতুন কোন আসামি গ্রেপ্তার আছে কিনা সে বিষয়ে কিছু জানায়নি পুলিশ। তবে টাঙ্গাইল ও টাঙ্গাইলের বাইরে পুলিশের একাধিক দল আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযানে রয়েছে।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) দুপুর ১২ টায় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার তার কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। সেখানে চাঞ্চল্যকর এই মামলার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করবেন।
এ দিকে গ্রেপ্তারকৃত রাজা মিয়াকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পর বৃহস্পতিবার থেকেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে বাস ডাকাত চক্রের সম্পর্কে তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এর আগে তারা আরও কোনো ডাকাতি কর্মকান্ডে অংশ নিয়েছে কিনা, তাদের দলের সদস্য সংখ্যা, তারা আর কি ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে ঈগল পরিবহনের একটি বাস নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সিরাজগঞ্জের একটি খাবার হোটেলে যাত্রা বিরতি করে। সেখান থেকে যাত্রা শুরুর পর তিন দফায় যাত্রীবেশি কয়েক জন ডাকাত বাসে উঠে। টাঙ্গাইল অতিক্রম করার পর ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে চালককে জিম্মি করে বাসটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। তারা যাত্রীদের হাত, পা, চোখ বেঁধে তাদের সব লুটে নেয়। এ সময় বাসে থাকা নারী যাত্রী ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হন। পরে বাসটি টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের দিকে ডাকাতরা নিয়ে যায়। রাত সাড়ে তিন টার দিকে বাসটি মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া নামক স্থানে রাস্তার খাদে পড়ে যায়। পরে স্থানীয় লোক ও ফায়ার সার্ভিস যাত্রীদের উদ্ধার করে। পরে পুলিশ আসলে যাত্রীরা ডাকাতি ও নির্যাতনের বিষয়টি জানান। ওই বাসের যাত্রী হেকমত মিয়া বাদি হয়ে মধুপুর থানায় বাস ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করেন।