হবিগঞ্জে শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে চা উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ধর্মঘট থাকায় উত্তোলন করা চা পাতা ফ্যাক্টরিতে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। একইসঙ্গে গাছের পাতাগুলো বড় হয়ে যাচ্ছে। এ সময় প্রতিদিন গাছ থেকে পাতা উত্তোলন করতে হয়, না হলে মান ঠিক থাকে না।
জানা যায়, হবিগঞ্জসহ সারা দেশের ২৩১টি বাগানে প্রাচীনকাল থেকে চা পাতা উৎপাদিত হয়ে আসছে। বাগান মালিকরা জানান, ধর্মঘটের কারণে প্রতিদিন এসব বাগানের ২০ কোটি টাকার চা পাতা নষ্ট হচ্ছে।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকার দাবিতে আন্দোলন চলছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে না।
বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে চুনারুঘাট উপজেলার চানপুর চা বাগানের ফ্যাক্টরিতে গিয়ে দেখা যায়, উত্তোলন করা চা পাতা পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে গেছে।
চানপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো. শামীম হুদা বলেন, ‘শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে চা উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এখন চা মৌসুমের মূল সময়। যেখানে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কেজি পাতা তোলা হতো, এখন তা কমে প্রায় ২০ হাজার কেজিতে চলে এসেছে। অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে এখন উৎপাদন শূন্য। যথাসময়ে পাতা উত্তোলন না করলে চায়ের গুণগত মানও হ্রাস পাবে।’
এদিকে চা-শিল্পে উৎপাদন ও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) খালেদ মামুন চৌধুরী। দ্রুততম সময়ের মধ্যে চলমান বিরোধ পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান ও চা-শিল্পে স্বাভাবিক উৎপাদনের পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।