কুষ্টিয়া, পাবনা ও শেরপুরের পৃথকস্থানে মঙ্গলবার (৬ সেপ্টম্বর) বজ্রপাতে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত দুইজন।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আটিগ্রাম এবং ভেড়ামারা উপজেলার মসলেমপুর পৃথক বজ্রপাতে মারা যান জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) ও আশরাফুল ইসলাম (৪০)।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মস্তফা জানান, সকালে উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের আটিগ্রামের জমিতে কাজ করছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। এসময় বজ্রপাত হলে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
ভেড়ামারার জিকে সেচ প্রকল্পের খালে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে আশরাফুল ইসলাম নামের আরো একজন নিহত হন বলে নিশ্চিত করেছেন ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান।
এদিকে শেরপুরের নকলায় উপজেলার উরফা ইউনিয়নের হাসনখিলা গ্রামে বজ্রপাকে ট্রলি চালক রফিকুল ইসলাম (৩০) ও চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের রেহারচর গ্রামের নাজমুল ইসলাম বজ্রপাতে নিহত হন।
নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উরফা ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম ও তার বড় দুই ভাই বাড়ির পাশের ক্ষেত থেকে আমন বীজ তুলছিল। হঠাৎ বজ্রপাত হলে রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় আহত নিহত রফিকুলের দুই ভাই রইস উদ্দিন ও সায়েদুল ইসলামকে হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয় লোকজন।
এছাড়া উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের রেহারচর গ্রামের বজ্রপাতে নাজমুল ইসলাম (৫০) নামে এক জেলে মারা গেছেন। ব্রহ্মপুত্র শাখার মৃগী নদীতে মাছ ধরার সময় তিনি মারা যান। বজ্রপাতে নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উরফা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরে আলম তালুকদার ভুট্টো ও চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান গেন্দু।
এদিকে পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভার ফতেমোহাম্মদপুর গ্রামের কৃষক আইন উদ্দিন (৭০) বাড়ির সামনের পুকুরে পাট জাগ দেওয়ার সময় বজ্রপাতে মারা যান। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পাবনার আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কাকমারি গ্রামে বাড়ির পাশে দলগাড়ি বিলে ধানের জমিতে আগাছা পরিস্কারের সময় সাদেক হোসেন নামে এক কৃষক বজ্রপাতে মারা গেছেন।