সাগর ও নদীতে ইলিশ ধরা বন্ধে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে আজ (৬ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে।
ইতিমধ্যে পটুয়াখালীর মহিপুর ও আলীপুরের শিববাড়িয়া নদীতে এসে পৌঁছেছে সমুদ্রগামী মাছধরা হাজারো ট্রলার। তবে নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের দেওয়া প্রনোদনা বাড়ানোসহ প্রতিবেশী দেশের জেলেদের মাছ ধরা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন জেলে ও ব্যবসায়ীরা।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, মা ইলিশের বাধাহীন প্রজননের জন্য ২০০৬ সাল থেকে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে সরকার। এতে বেড়েছে ইলিশের উৎপাদন। এই ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় এবং বিনিময় সম্পূর্ণ বেআইনি। এই আইন কেউ অমান্য করলে কমপক্ষে এক থেকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। তবে নিষেধাজ্ঞাকালে জেলার নিবন্ধিত সকল ইলিশ শিকারি জেলেদের ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।
মহিপুরের আমখোলা পাড়া এলাকার জেলে ছলেমান মুন্সী বলেন, এ বছর সাগরে তেমন ইলিশ ধরা পড়েনি। সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে আমরা খরচের টাকাও অনেক সময় উঠাতে পারিনি। কারণ নিষেধাজ্ঞার সময়ে পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেরা মাছ ধরে নিয়ে যায়। পরে আর মাছ থাকেনা। তাই এই ২২ দিন সাগরে প্রশাসনের আরো বেশি টহল বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।
আলীপুরের জেলে ছিদ্দিক মাঝি বলেন, আগে দেখেছি অবরোধ শেষ হয়ে যায় কিন্তু আমাদের জন্য জন্য ধার্যকৃত সরকারি প্রনোদনা পাইনা। আমরা এমনিতেই ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছি। তাই অবরোধ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে চাল দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। এছাড়া প্রনোদনা আরেকটু বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম জানান, অবরোধ সফল করতে আমরা জেলে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। এছাড়া জেলে পল্লীগুলোতে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। অবরোধকালীন সময়ে জেলার নিবন্ধিত ৬৩ হাজার ৮৪৮ জন জেলেকে ২০ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে। এছাড়া এই সময়ে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও নৌ-বাহিনী জলে ও স্থলে অবরোধ সফল করতে কাজ করবে।