ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন। জেলার ৯টি ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও ২২৪টি সেন্টার খুলে দেওয়া হয়েছে। মজুদ রাখা হয়েছে শুকনো খাবার।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রোববার (২৩ অক্টোবর) রাত থেকে জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়ছে। মধুমতি নদী ও মধুমতি বিল রুট চ্যানেলে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে তা বিপদসীমার ৯৭ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে জরুরি সভা করেছে জেলা প্রশাসন।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় অনলাইনে সংবাদিকদের সঙ্গে জরুরি সভা করে জেলা প্রশাসন। সভায় সভাপতিত্বে করেন জেলা প্রশাসক। এ সভায় সরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা যুক্ত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, ৯টি ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও ২২৪টি সাইক্লোন সেন্টার খুলে দেওযা হয়েছে। যে কেউ অনিরাপদ মনে করলে সেখানে আশ্রয় নিতে পারবে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিকেল টিম ও স্বেচ্ছাসেবী। দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন জেলায় মোট ৬০ হাজার লোকের জন্য জরুরি ত্রাণ ব্যবস্থা নিয়েছে। জরুরি ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ২৫ মেট্টিক টন চাল, জরুরি আর্থিক সহায়তা দেওয়ার নগদ ৫ লাখ টাকা, জরুরি শুকনো খাবার সরবরাহের জন্য ১ হাজার কার্টুন শুকনো খাবার, ৩০০ কার্টুন মিষ্টি বিস্কুট, ৪০০ কার্টুন ডায়াবেটিক বিস্কুট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মজুদ রাখা হয়েছে মোমবাতি ও আগুন জ্বালানোর লাইট। কোনো পরিবার আক্রান্ত হলে দ্রুত খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, জেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কোটালীপাড়ায় সতর্কতামূলক মাইকিং করা হয়েছে। এ ছাড়া যে কোনো পরিস্থিতিতে সার্বিক সহযোগিতার জন্য কন্ট্রেল রুমের (মোবাইল ০১৭০০৭১৬৭৮৮) সঙ্গে যোগাযোগের জন্য হটলাইন সেবা চালু করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সিত্রাং এর প্রভাবে মধুমতি নদী ও মধুমতি বিল রুট চ্যানেলে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া পয়েন্টে বিপদ সীমার ৯৭ সেমি ও হরিদাসপুর পয়েন্টে ১২২ সেমি নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু সুফিয়ান জানান, আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির মাত্রা বেড়ে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।