হিলিতে ব্যাংকগুলো আমদানি ঋণপত্র বা এলসি খোলা বন্ধ করে দিয়েছে। এতে ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে বিপাকে পড়ছেন আমদানিকারকরা।
মঙ্গলবার (১নভেম্বর) দুপুরে এ বিষয়টি জানান হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কারক গ্রুপের (সিএন্ডএফ) সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন।
হারুন উর রশিদ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক কিংবা স্থানীয় ব্যাংকের নির্দেশে আমদানি কারকদের এলসি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু ব্যাংকে এলসিতে নিরুৎসাহিত করছে, আবার অনেক ব্যাংকে এলসি একেবারে বন্ধ করে দিয়েছে। এতে করে আমদানিকারকরা বিপদের মধ্যে পড়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের আমদানি কারকদের সঙ্গে অনেক পণ্য আমদানিতে চুক্তি করে রেখেছেন এ দেশের আমদানিকারকরা। এলসি না করতে পারায় ওইসব পণ্য আমদানি করতে পারছেন না তারা। এতে দুই দেশের আমদানিকারকদের ভুল বুঝাবুঝি হচ্ছে।’
হারুন উর রশিদ বলেন, আমদানি না হলে দেশের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে। তাই আমরা অনুরোধ করবো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন এলসির মাধ্যমে পণ্য আমদানির অনুমতি দেন।’
অগ্রণী ব্যাংকের হিলি শাখার এজিএম মশিউর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, এলসি বন্ধ করা হয়নি, তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় এলসি করতে আমদানি কারকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।‘
ন্যাশনাল ব্যাংকের হিলি শাখার ম্যানেজার আজাদ আলী বলেন, ‘এলসি তেমন বন্ধ করা হয়নি। আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের মূল্য বাড়ায় এলসিতে আমদানি কারকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।’