রাজধানীর রামপুরা থেকে নিখোঁজের তিনদিন পর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার হওয়ায বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন।
চিকিৎসক ফরহাদ হোসেন জানান, পরশের মাথার বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এছাড়ও তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের বনানীঘাট থেকে পরশের লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। নিহত পরশ বুয়েটের সিলিভ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এদিকে ময়নাতদন্তের পরপরই পরশের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানা পুলিশ। দুপুরে ফারদিনের প্রথম জানাজা হবে বুয়েটে। বিকেলে ডেমরা সামসুল হক স্কুল ও কলেজে দ্বিতীয় জানাজা হবে। পরে তাকে নারায়ণগঞ্জের দেলপাড়ায় তৃতীয় জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হবে।
চিকিৎসক ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘বুয়েট শিক্ষার্থী পরশের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় যে পরিমাণ আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে তাতে নিশ্চত এটি হত্যাকাণ্ড। পরশের মাথায় ও বুকে অসংখ্য আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা ধারণা করছি তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তার ভিসেরা টেস্টের পর বিস্তারিত আরও জানতে পারবো।’
পরশ বুয়েটের ডিবেট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ডিবেট চেম্পিয়নশিপে অংশ নিতে আগামী জানুয়ারি মাসে স্পেন যাওয়ার কথা ছিল তার।
নিহত পরশের বাবা নূর উদ্দিন বলেন, ‘নিখোঁজের একদিন পর ৫ নভেম্বর রামপুরা থানায় একটি জিডি করেছিলাম। যারাই পরশকে হত্যা করেছে তারা পরিকল্পনা করেই আমার ছেলেকে মেরেছে। আমার ছেলে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ছিল না। সে ভালো ছাত্র ছিল। আমি সন্তান হত্যার বিচার চাই।’
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানা পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর মনিরুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পরিবার এজাহার দেওয়ার পর মামলা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।