অন্তত ১২টি শর্তে মেনে রাজশাহীতে বিভাগীয় গণসমাবেশ করতে হবে বিএনপিকে। আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। জেলা প্রশাসক আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে মাঠটি ব্যবহার করতে বিএনপিকে ইতোমধ্যে অনুমতি দিয়েছে।
তবে গণসমাবেশ আয়োজন এবং মাইক ব্যবহারের জন্য আলাদা অনুমতি নিতে হবে পুলিশের। আবেদন করা থাকলেও মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) পর্যন্ত বিএনপি সেই অনুমতি পায়নি। যদিও অন্তত ১২ শর্তে পুলিশ মাদ্রাসা মাঠেই গণসমাবেশ করার অনুমতি দেওয়ার একটি প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বিএনপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানানো হবে সমাবেশের মাত্র দুই দিন আগে।
এখন মাদ্রাসা মাঠজুড়ে বসানো হচ্ছে পুলিশের সিসি ক্যামেরা। গত রোববার থেকে কাজ চলছে পুরোদমে। মাঠের চারপাশ ও আশপাশের সড়কসহ পুরো সমাবেশস্থল থাকবে সিসি ক্যামেরার আওতায়। যে কোনো ধরনের অঘটন বা অপ্রীতিকর ঘটনা পর্যবেক্ষণে ফুটেজ সংগ্রহ করা হবে।
এ বিষয়ে আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের প্রধান উৎপল কুমার চৌধুরী বলেন, শুধু সমাবেশস্থলই নয়, গোটা নগরীসহ রাজশাহীর প্রবেশমুখগুলোও সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কন্ট্রোল রুম থেকে ক্যামেরাগুলো পর্যবেক্ষণ করা হবে। নজর রাখা হবে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমাবেশে আসা ব্যক্তিদের গতিবিধির ওপর।
রাজশাহী নগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক জানিয়েছেন, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি না করা, বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করা, সমাবেশস্থলের বাইরে মাইক না লাগানো, আজানের সময় মাইকের শব্দ বন্ধ রাখাসহ অন্তত ১২টি শর্ত দেওয়া হবে বিএনপিকে। এসব শর্তে রাজি থাকলে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
দেশজুড়ে ধারাবাহিক কর্মসুচির অংশ হিসেবে আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে বিভাগীয় গণসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। তবে পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এখনও মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করতে পারেনি বিএনপি।
মাঠ সাজসজ্জা উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম মার্শাল বলেন, ‘গণসমাবেশের জন্য মাঠ বরাদ্দ চেয়ে আমরা আবেদন করেছি। কিন্তু লিখিত অনুমতি এখনও পাইনি। একদিন আগে অনুমতি পেলেও আমরা মাঠ তৈরি করে ফেলব।’