সারা বাংলা

টাঙ্গাইলে সিনেমা হলে দেখানো হবে বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল 

আর মাত্র ৬ ঘণ্টা বাকি। এর পরই কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবলের এবারের আয়োজনের ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। তাই খেলা উপভোগ করতে চাওয়া দর্শকদের জন্য ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে টাঙ্গাইলে টিকে থাকা একমাত্র সিনেমা হল ‘মালঞ্চ’ কর্তৃপক্ষ। 

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় ফাইনাল খেলা সরাসরি এই হলের বড় পর্দায় দেখানো হবে। তাই সকাল থেকেই শহরে মাইকিং করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যেই হলটিতে অগ্রিম টিকিট কিনতে আসতে শুরু করেছেন ফুটবল প্রেমিরা।

মালঞ্চ হল কর্তৃপক্ষ জানান, হলটি ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন সময়ে টাঙ্গাইল শহরে পাঁচটি সিনেমা হল ছিলো। বর্তমানে এই একটি মাত্র সিনেমা হল কোনোভাবে টিকে আছে। এই হলের আসন সংখ্যা ৩৫০টি।

ফুটবল প্রেমিরা জানান, পুরো বিশ্বকাপ খেলা বাসায় বসেই দেখেছেন তারা। কিন্তু এবার তাদের প্রিয় দল আর্জেন্টিনা ফাইনাল খেলবে এই আনন্দে সবাই বড় পর্দায় খেলা দেখার জন্য মালঞ্চ সিনেমা হলে এসে অগ্রিম টিকিট কিনতে শুরু করেছেন। 

শহরের থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা শাওন মিয়া বলেন, ‘আমি আর্জেন্টিনাকে সার্পোট করি। বিশ্বকাপের অন্যান্য খেলা নিজের ও বন্ধুর বাসায় বসে দেখেছি। কিন্তু আজকে বড় পর্দায় খেলা দেখতে মালঞ্চ হল থেকে বন্ধুরা মিলে পাঁচটি টিকিট কিনেছি। অন্যান্য দিনের চেয়ে আজকে আনন্দ উল্লাসে খেলা দেখবো। আমার বিশ্বাস কাতার বিশ্বকাপটি আর্জেন্টিনার ঘরে যাবে।’

রবিন তালুকদার নামে অপর একজন বলেন, ‘বিশ্বকাপ ফুটবল মানেই বাড়তি উম্মাদনা। অন্যান্য খেলা বাসায় বসে দেখলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছি ফাইনাল খেলাটি মালঞ্চ হলের বড় পর্দায় দেখার। সকলে মিলে খেলা দেখলে উল্লাস করতে পারবো।’

মালঞ্চ হলের ব্যবস্থাপক আব্দুল মিয়া বলেন, ‘কাতার বিশ্বকাপের সর্বশেষ খেলাটি আজ। আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের মধ্যে ট্রফির লড়াই দিয়ে শেষ হবে কাতার বিশ্বকাপ। আর তাই দুই দলের দর্শকরা বড় পর্দায় একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। সকাল থেকেই অনেক দর্শক আসছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ একাধিক টিকিট ক্রয় করছেন। স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার মতো কিছুটা হলেও আমেজ পাবেন দর্শকরা।’ 

মালঞ্চ হলের মালিক জাহিদুর রহমান বলেন, ‘গত বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা দেখার জন্য আমরা আয়োজন করেছিলাম। সাড়াও পেয়েছিলাম ভালো। সেই চিন্তা থেকে এ বছরও খেলা দেখার আয়োজন করা হয়েছে। সকাল থেকে ভালোই টিকেট বিক্রি হচ্ছে।’