সারা বাংলা

গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ রেখে পালিয়েছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় নাসরিন আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ রেখে পালিয়েছেন শ্বশুর বাড়ির লোকজন। পরে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা থানায় নিহতের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেবরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ করেছেন।  

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। 

এরআগে, রোববার বিকেলে উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ছাতারপাইয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাসরিন আক্তার পশ্চিম ছাতারপাইয়া গ্রামের মো. জহিরের স্ত্রী। 

নিহতের মা পান্না আক্তার বলেন, তিন বছর আগে সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ছাতারপাইয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে অটোরিকশা চালক মো. জহিরের সঙ্গে বিয়ে হয় তার মেয়ে নাসরিন আক্তারের। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবীতে মেয়ের উপর নির্যাতন করে আসছিলো তার স্বামী জহির। শ্বশুর. শাশুড়ি, দেবর তুচ্ছ ঘটনায় নাসরিনকে মানসিক নির্যাতন ও মারধর করতো। তার স্বামী অন্য এক নারীর সাথে পরকীয়ায় আসক্ত ছিলো। মেয়ের খোঁজ খবর রাখতে আমি মেয়েকে দুটি মোবাইল ফোন দিয়েছিলাম। ফোনগুলো তার স্বামী ছিনিয়ে নেয়। 

তিনি বলেন, চলতি মাসের ১৩ ডিসেম্বর ও ১৭ ডিসেম্বর তাকে মারধর করে শ্বশুর পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে আমি মেয়ের স্বামীর বাড়িতে যাই। সেখানে নাসরিন আমাকে জানায় তাকে মারধর করে চিরতরে স্বামীর বাড়ি থেকে তাড়ানোর হুমকি দিয়েছে তার স্বামী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা।  

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে নিহতের স্বামীসহ তার পরিবারের একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। পলাতকদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।