রাজশাহী বিভাগের দুই জেলার কেউ প্রথম দিন করোনাভাইরাসের চতুর্থ ডোজের টিকা নেননি। জেলা দুটি হলো- চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) থেকে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো রাজশাহী বিভাগেও করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। বিভাগের ছয় জেলায় অল্প সংখ্যক মানুষ টিকা নিয়েছেন।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী মহানগরের চারটি কেন্দ্র এবং বিভাগের অন্য জেলার প্রতিটি সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ জেলার একজনও প্রথম দিন চতুর্থ ডোজের টিকা গ্রহণ করেননি।
অন্য জেলাগুলোর মধ্যে রাজশাহী জেলা ও মহানগরে ২৭ জন পুরুষ এবং ২৬ জন নারী, নওগাঁয় ১১১ জন পুরুষ ও ৬৮ জন নারী, নাটোরে ২০ জন পুরুষ ও ১২ জন নারী, জয়পুরহাটে ১৭ জন পুরুষ ও ১৬ জন নারী, বগুড়ায় ৪২ জন পুরুষ ও ৪৬ জন নারী এবং পাবনায় ৭ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী টিকা নিয়েছেন। প্রথম দিন মোট চতুর্থ ডোজ টিকা গ্রহণকারী ৩৯৬ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. নাজমা আক্তার জানান, ষাটোর্ধ্ব নারী-পুরুষকে এখন চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়া হচ্ছে। সব ধরনের টিকা মজুত আছে। যে টিকার তৃতীয় ডোজ নেওয়া আছে, চতুর্থ ডোজও সে টিকা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রথম দিন রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জের কেউ টিকা নেননি। অথচ জেলা সদর এবং প্রত্যেক উপজেলাতেই এ কার্যক্রম চলেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘কোভিডের সংক্রমণ কমে যাওয়ার কারণে টিকা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার আগ্রহ কমে গেছে। সেখানে চতুর্থ ডোজ নেওয়ার আগ্রহ কম থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। এ জন্য প্রথম দিন খুব বেশি মানুষ টিকা নেননি। তবে কার্যক্রম চলমান থাকবে। আশা করছি সবাই টিকা নেবেন।’