ভোলার তুলাতুলি এলাকার মেঘনা নদীতে জ্বালনী তেলবাহী ডুবে যাওয়া জাহাজটি এখনো উদ্ধার হয়নি। বরং জাহাজটিতে থাকা সাড়ে ১১ লাখ লিটার ডিজেল ও অকটেন নদীতে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। এতে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।
এদিকে ছড়িয়ে পড়া তেলের গন্ধের কারণে স্থানীয় জেলেরা নদীতে মাছ শিকারে যেতে পারছে না বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় কার্গো দুর্ঘটনা, উদ্ধার ১২
বিআইডব্লিটিএ সূত্রে জানা গেছে, ডুবে যাওয়া জাহাজটি উদ্ধারে সাগর বধূ-৩ নামের একটি জাহাজ কাজ করছে। সব ঠিক থাকলে উদ্ধার কাজে অংশ নিতে আজ সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে আরো একটি জাহাজের এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাড়ে ১১ লাখ লিটার তেল নিয়ে চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা এমভি সাগর নন্দিনী-২ নামের একটি জাহাজ গতকাল রোববার ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে জাহাজটি মেঘনা নদীতে নোঙ্গর করা অপর একটি কার্গো জাহাজকে ধাক্কা দেয়। এতে সাগর নন্দিনী-২ জাহাজের তলাফেটে মেঘনায় তেল জড়িয়ে পড়তে শুরু করে।
পরিবেশবিদ অ্যাডভোকেট নজরুল হক অনু বলেন, ‘তেল দ্রুত অপসারণ করা না হলে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। বিশেষ করে নদীতে মাছের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে।’
দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজ সাগর নন্দনি-২’র মাস্টার মাসুদুর রহমান বলেন, ‘দুর্ঘটনার দিন ১ থেকে দেড় হাজার লিটার তেল উদ্ধার করা গেছে। বাকি তেলে নদীতে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। এতে প্রায় ১২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
বিআইডব্লিটিএ ডুবুরি ইমাম হোসেন বলেন, জাহাজটি ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে। জাহাজটি উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সাগর বধূ-৩ নামের একটি জাহাজ উদ্ধারের কাজ করছে। আরেকটি জাহাজ উদ্ধার কাজে অংশ নিতে আসছে।’
বিআইডব্লিটিএ যুগ্ম পরিচালক মো. আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমরা জাহাজটি মালিক পক্ষকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে উদ্ধার করতে বলেছি, কারণ এই জাহাজ উদ্ধারের সক্ষমতা নেই।’
ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তামিম আল ইয়ামিন বলেন, আমরা এখনও তদন্ত কমিটি গঠন করিনি। তবে দ্রুত একটি কমিটি গঠন করা হবে ঘটনাটি তদন্তে।