চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের একটি বিনোদন পার্কে চার পা ওয়ালা একটি মোরগের সন্ধান পাওয়া গেছে। চারটি পায়ে কোনো সমস্যা ছাড়াই দিব্বি চলাফেরা করছে প্রাণীটি। ফলে পার্কে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের কাছে মূল আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মোরগ। বিরল এই ঘটনাটির সাক্ষী হতে মোবাইলের ক্যামেরায় ছবি তুলছেন অনেকেই।
এদিকে মোরগটি কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন অনেকেই। ইতোমধ্যে ৫ মাস বয়সী প্রায় দুই কেজি ওজনের মোরগটির দাম উঠেছে ৫০ হাজার টাকা। তবে প্রাণীটি বিক্রির কোনো ইচ্ছা নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে পার্কটির কর্তৃপক্ষ।
নাচোল উপজেলার মাকতাপুর বরেন্দ্র এলাকার গ্রিনল্যান্ড শিশুপার্কে কালো-সাদা ও হালকা বাদমী বর্ণের মোরগটির সন্ধান পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাচোল উপজেলার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম নামের এক মুরগি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে মোরগটি কেনেন গ্রিনল্যান্ড শিশু পার্কের মালিক মোখলেসুর রহমান। তারপর থেকেই মোরগটি এই পার্কে রয়েছে। এর ওজন এখন প্রায় দুই কেজি।
পার্কে বেড়াতে আসা নাচোলের এক প্রবীণ বলেন, অনেক জায়গায় শুনেছি পশুপাখি হাস মুরগির বিরল ভাবে বেশ কয়েকটি পা নিয়ে জন্ম নেয়। আজকে এই পার্কে এসে প্রমাণ পেলাম। ভালোই লাগছে, ভিন্ন কিছু দেখতে পেয়ে।
তামিমা নামের এক নারী দর্শনার্থী বলেন, ‘মোরাগটির আকার আকৃতি অন্য মোরগদের মতো হলেও এর চারটি পা রয়েছে। পার্কে আসার পর অনেক খোঁজাখুঁজির পর মোরগটিকে দেখতে পাই। দেখতেও ভালো লাগছে, গায়ের রংটাও দারুণ। ছবি তুলে বাড়ি নিয়ে অন্যদের দেখাবো।’
গ্রিনল্যান্ড পার্কের ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিনোদনের জন্য বিভিন্ন রাইড, পশু পাখি থাকলেও মোরগীটি এক পলক দেখবেন বলেই এখানে ঘুরতে আসছেন মানুষজন। অনেকে মোরগটিকে ধরে সেলফি তোলেন, আবার অনেকে ভিডিও ধারণ করে নিয়ে যাচ্ছেন। এই মোরগটি এখন আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোরগটিকে দেখে অনেকেই দাম জিজ্ঞেস করেন। অনেকেইতো দাম করে বসে মালিকের সঙ্গে। ইতোমধ্যে প্রায় ৫ মাস বয়সি মোরগটির দাম উঠেছে ৫০ হাজার টাকা। যদিও মালিক মোরগটি বিক্রি করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।‘
পার্কের মালিক মোখলেসুর রহমানের বলেন, ‘পার্কে ঘুরতে আসা অনেক দর্শনার্থী ছাড়াও পরিচিত প্রায় অনেক জনই মোরগটি কিনতে আগ্রহী। তবে মোরগটি বিক্রি করার ইচ্ছা আমাদের নেই। পার্কে মোরগটি আছে, ভালোই লাগছে। সবাই দেখতে আসছে ছবি তুলছে। এই দৃশ্য দেখে আমারও ভালো লাগছে।’