গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে শেল বাহাদুর নামে একটি হাতির মৃত্যু হয়েছে। পার্কেই আমির বাহাদুর নামে অপর একটি হাতির আক্রমণে ওই হাতিটি মারা গেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে হাতি মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে পার্কের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
হাতি মৃত্যুর ঘটনায় সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম গত ২২ ডিসেম্বর শ্রীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, গাজীপুর এর অভ্যন্তরে হাতিশালায় গত ২১ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় শেল বাহাদুর নামে পুরুষ হাতিটি অপর হাতি আমির বাহাদুরের আক্রমণে মাথায় প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং তাৎক্ষণিক মারা যায়। মারা যাওয়া পুরুষ হাতিটির আনুমানিক বয়স ৪৭ বছর। পার্কের বন্যপ্রাণী হাসপাতালের দায়িত্বে নিয়োজিত ভেটেরিনারি সার্জন মারা যাওয়া হাতিটির ময়নাতদন্ত করেন এবং ওই হাতিটি ব্রেন স্টোক কারণে মারা গেছে মর্মে অবহিত করেন।
হাতিটি গত ২১ ডিসেম্বর পার্কের ভেতরের হাতিশালায় মারা গেলেও কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমে বিষয়টি জানায়নি।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় হাতি মৃত্যুর বিষয়ে কথা হয় প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, গত ২১ ডিসেম্বর পার্কের হাতিশালায় একটি হাতি মারা গেছে। হাতিটির বয়স হয়েছিল ৪৭-৪৮ বছর। শারীরিকভাবে অনেকটা দুর্বল ছিল হাতিটি। ওই দিন হাতিশালার অপর একটি হাতি ওই হাতিকে ধাক্কায় দিয়ে পিলারের ওপর ফেলে দেয়। এতে গুরুতর আঘাত পায় মারা যাওয়া হাতিটি। মৃত হাতিটির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলেই হাতির মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এছাড়াও হাতি মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, হাতি মৃত্যুর ঘটনায় পার্ক কর্তৃপক্ষ শ্রীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। তাতে মৃত্যু কারণ হিসেবে হাতিদের মধ্যে মারামারি কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক মো. ইমরান হাসান বলেন, মৃত হাতিটি পুরুষ ছিল। হাতিদের মধ্যে মারামারির কারণে ওই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। হাতি মৃত্যুর কারণে জানতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সাফারি পার্কে মোট ৯টি হাতি ছিল। এর মধ্যে ৭টি পুরুষ ও ২টি মাদি। একটি হাতি মারা যাওয়ায় এখন হাতির সংখ্যা ৮টিতে দাঁড়ালো।