দুই বছরেরও বেশি সময় বন্ধ রাখার পর খেলাধুলা সভাসমাবেশ ও সাংস্কৃতিক আয়োজনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘির ময়দান। প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার ও আধুনিকায়নের পর ময়দানটি সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়।
গতকাল সোমবার লালদীঘির ময়দান আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
এর আগে, চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নবসজ্জিত লালদীঘির মাঠ উদ্বোধন করেন। দেশের আন্দোলন-সংগ্রামের অন্যতম সূতিকাগার চট্টগ্রামে ঐতিহাসিক লালদীঘির ময়দান। প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন এই ময়দান বহু বছর ধরে অবহেলিত ছিল। ২০২০ সালে ময়দানটি সংস্কার ও আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানান, লালদীঘির মাঠ আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যের অংশ। অনেক গণ আন্দোলনের সাক্ষী এই মাঠ। দেশের ঐতিহ্য ও ইতিহাসকে তুলে ধরে এই মাঠটিকে সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এই মাঠের মালিকানা মুসলিম হাই-স্কুলের। এখন থেকে স্কুল চলাকালীন সময়ে পার্শ্বস্থ মুসলিম হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলাধুলা করবে। স্কুল ছুটির পর এলাকাবাসী বিকেলে মাঠে হাঁটতে পারবেন। এছাড়া রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন থাকবে এখানে।
তিনি আরও জানান, নির্দিষ্ট ফি দিয়ে জেলা প্রশাসনের গঠিত কমিটি থেকে অনুমোদন নিয়ে মাঠটি ব্যবহার করা যাবে। তবে মাঠে কোনভাবেই কার, মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। একই সঙ্গে এখানে কোনো মেলা বসতে দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম নগরের ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দান বাংলার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত। এই ময়দান থেকেই গর্জে উঠেছে ব্রিটিশ এবং পাকিস্তান শাসনবিরোধী নানা আন্দোলন সংগ্রামের হাজারো প্রতিবাদী কণ্ঠ। বাংলাদেশ, ভারতসহ অত্র অঞ্চলের সহস্র নেতাদের পদচিহ্ন পড়েছে এই লালদীঘির ময়দানে। চট্টগ্রামের লালদীঘির ময়দান প্রতিটি রাজনীতিকের কাছে তীর্থস্থান। এই মাঠে বক্তব্য রাখতে পারা তাদের কাছে গর্বের ও গৌরবের।