দীর্ঘ ২০ বছর পর খুলনা জেলা এবং ১৪ বছর পর খুলনা মহানগর যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আগামীকাল মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। খুলনা মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র শিববাড়ি মোড়স্থ জিয়া পাবলিক হল চত্বরে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা ও মহানগর যুবলীগ। এখন তারা শেষ মুহূর্তে মঞ্চ তৈরি ও প্যান্ডেলের কাজ করছেন।
এদিকে, দীর্ঘদিন পর সম্মেলনকে ঘিরে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপন বিরাজ করছে যুবলীগের তৃণমূল নেতার্মীদের মধ্যে। মহানগর ও জেলার প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এখন সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। নেতাদের ছবি সম্বলিত দৃষ্টি নন্দন তোরণ, প্যানা, পোস্টারে ভরে গেছে রাস্তাঘাট। কোথাও কোথাও আবার করা হয়েছে আলোকসজ্জা। শুধু যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেই নয়; আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদেরও দ্বারে দ্বরে ধর্ণা দিচ্ছেন পদ প্রত্যাশীরা।
আরও পড়ুন: নগর ও জেলা যুবলীগের সম্মেলন: খুলনা এখন পোস্টারের নগরী
খুলনা জেলা যুবলীগ সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আক্তারুজ্জামান বাবু এমপি, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক সফিকুর রহমান পলাশ ও যুগ্ম-আহ্বায়ক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন বলেন, ইতোমধ্যেই সম্মেলনের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। এখন শুধুমাত্র মঞ্চ তৈরি ও প্যান্ডেলের কাজ চলছে।
তারা আরও জানান, সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি। এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এবং খুলনা সদর আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের।
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ২৫ মে খুলনা জেলা যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন ও ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মহানগর যুবলীগের দ্বিতীয় দফায় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। দলীয় রাজনীতিতে মহানগর যুবলীগ সক্রিয় থাকলেও দীর্ঘদিন সম্মেলনের অভাবে প্রায় নিস্ক্রিয় জেলা যুবলীগ। ২০২১ সালে ২২ জানুয়ারি সম্মেলন ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। সর্বশেষ ২০০৩ সালের ২৫ মে খুলনা জেলা যুবলীগের সর্বশেষ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে কামরুজ্জামান জামাল সভাপতি ও আক্তারুজ্জামান বাবুকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর প্রায় ৫-৬ মাস পর ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়।
২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি মহানগর যুবলীগের ৫১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। ওই কমিটিতে অ্যাডভোকেট সরদার আনিসুর রহমান পপলুকে আহবায়ক এবং মনিরুজ্জামান সাগর ও হাফেজ মো. শামীম যুগ্ম-আহবায়ক ছিলেন। দ্বিতীয় দফার আহবায়ক কমিটিতে আহবায়ক হন সাবেক ছাত্রনেতা সফিকুর রহমান পলাশ। এছাড়া যুগ্ম আহবায়ক করা হয় মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহজালাল হোসেন সুজনকে।