পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ‘এই দেশে যখন স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নস্যাৎ করার জন্য বিভিন্ন হুমকি এসেছে তখনই জনতার সঙ্গে পুলিশ ঝাঁপিয়ে পড়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উঁচুতে তুলে ধরে অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পুলিশ সদস্যরা জীবন বিলিয়ে দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেননি।’
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় যশোর পুলিশ লাইন মাঠে বার্ষিক পুলিশ সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
একসময় দক্ষিণাঞ্চল ‘সন্ত্রাসীদের জনপদ ছিল’ উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছিলেন। সেই নীতিতে পুলিশের সব সদস্য সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। শুধু এই অঞ্চলে নয়; দেশের সব স্থানে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে পুলিশ জনতার পুলিশ হিসেবে কাজ করছে। ফলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ব্যবসাবান্ধব জনপদে পরিণত হয়েছে। শান্তি-শৃঙ্খলার সঙ্গে উন্নয়নের জোয়ার বইছে।’
শারীরিক গঠন ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেক কারণে পুলিশের সঙ্গে খেলাধুলার সম্পর্ক রয়েছে। শারীরিক গঠন ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় পর্যায়ের খেলাধুলায় বাংলাদেশ পুলিশের অবস্থান রয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আমরা দেশের প্রতিনিধিত্ব করি। খেলাধুলায় বাংলাদেশ পুলিশের অংশগ্রহণ আরও সুদৃঢ় করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। প্রত্যেক ইউনিটেই খেলাধুলা চর্চা বাড়াতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির সভানেত্রী ডা. তৈয়বা মুসাররাত জাঁহা চৌধুরী, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মইনুল হক।