রাঙামাটিতে এবার ৮১ হাজার ৬৭৬ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে এই ক্যাম্পেইন শুরু হবে।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এতথ্য জানানো হয়।
এবার রাঙামাটিতে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৯ হাজার ২৫১ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৭২ হাজার ৪২৫ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা জানান, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে শিশুরা রোগে আক্রান্ত হয় না। রোগ আক্রান্ত না হলে শিশুর মৃত্যু হয় না। কেউ টিকার আওয়তার বাইরে থাকবে না। রাঙ্গামাটি জেলায় মোট ১ হাজার ২৭২টি টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্রে ২ জন কওে মোট ২ হাজার ৫৪৪জন কর্মী কাজ করবেন। প্রতিটি কেন্দ্র পরিদর্শনে একটি করে টিম থাকবে।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ আয়োজিত সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশনে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল সম্পর্কে অবহিত করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আরিফ ফয়সাল।
সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশনে জানানো হয়, ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬ মাসের কম বয়সী শিশু, ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশু , ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল প্রাপ্ত শিশু এবং অসুস্থ শিশুকে ক্যাম্পেইনের দিনে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মত ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়াতে হবে।