সারা বাংলা

রেললাইনে রাবি শিক্ষার্থীদের আগুন, ফের ট্রেন চলাচল বন্ধ

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে আন্দোলনরত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা এবার রেললাইনে আগুন দিয়েছেন।

রোববার (১২ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের পেছনে রেললাইনের দুটি স্থানে কাঠের গুঁড়ি ফেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে রাজশাহীর সঙ্গে ফের সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘রেললাইনের দুটি জায়গায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে আগুন জ্বালানো হয়েছে। রাত ৮টা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগুনের কারণে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে ছেড়ে আসা মধুমতী এক্সপ্রেস ট্রেন রাজশাহীতে ঢুকতে পারেনি। বর্তমানে ট্রেনটি রাজশাহীর হরিয়ানা স্টেশনে আটকে আছে। মধুমতীর পর তিতুমীর এক্সপ্রেস, সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেসসহ কয়েকটি ট্রেন রাজশাহী ঢোকার কথা ছিল। এছাড়া, রাত সোয়া ৯টায় রাজশাহী থেকে বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস এবং রাত ১১টা ২০ মিনিটে ধূমকেতু এক্সপ্রেস রাজশাহী থেকে বের হওয়ার সময়সূচী আছে। রেললাইন অবরোধ থাকলে কোনও ট্রেন রাজশাহীতে ঢুকবে না কিংবা রাজশাহী থেকে বেরও হতে পারবে না।’

এর আগে, শনিবার রাতে সংঘর্ষ চলাকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের একটি অংশ রেললাইনের ওপর অবস্থান নিয়েছিলেন। তখন রাজশাহীর সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছাড়া অন্য সব জেলার ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, শনিবার বগুড়া থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পথে বাসের আসনে বসাকে কেন্দ্র করে চালক ও চালকের সহকারীর সঙ্গে এক শিক্ষার্থীর কথা-কাটাকাটি হয়। পরে বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর ফটকে পৌঁছালে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে আবার বাগবিতণ্ডা হয়। এসময় স্থানীয় এক দোকানদার ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে ওই দোকানদারের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জড়ো হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। তখন শিক্ষার্থীরাও তাদের পাল্টা ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।

দফায় দফায় এ সংঘর্ষে স্থানীয় মানুষের হামলায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। শিক্ষার্থীরা বিনোদপুর এলাকায় দোকানে ও পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেন। এ ঘটনায় পুলিশ, র‌্যাবের পাশাপাশি সাত প্লাটুন বিজিবি কাজ করছে।