টাঙ্গাইলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় জামিন পেয়েছেন বাসাইলের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুর হোসেন।
সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক শেখ আব্দুল আহাদ শুনানি শেষে মনজুরের জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে, বাসাইলের সাবেক ওই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। আজ উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিনের শেষ দিন ছিলো।
সাবেক ইউএনও মনজুন হোসেন রাজবাড়ীর পাংশা থানার চরঝিকড়ী গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওএসডি হিসেবে সংযুক্ত আছেন।
টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলী (পিপি) এস আকবর আলী খান বলেন, ইউএনও মনজুর হোসেন উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। আজ তার জামিনের শেষ দিন ছিলো। মনজুর হোসেন গত ৬ মার্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ থাকায় বিচারক আজ সোমবার শুনানির দিন ধার্য্য করেছিলেন। পরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক সাবেক ইউএনও`র বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে বাসাইলে ইউএনও হিসেবে কর্মরত থাকার সময় ফেসবুকে এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় মনজুর হোসেনের। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের কথা বলে মনজুর হোসেন বিভিন্ন সময় ওই কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকি তারা টাঙ্গাইল শহরে বাসা ভাড়া করে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একত্রে কয়েক মাস বসবাসও করেন। পরে ওই কলেজছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ দিলে মনজুর হোসেন তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২১ জুন আদালতে মামলা করেন ওই কলেজছাত্রী। মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর পিবিআই আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্তে আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি আইনের ৪৯৩ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন বিচারক।