সারা বাংলা

খুলনায় এক মাসে দায়ের ৩৬৬ মামলা

খুলনা মহানগর ও উপজেলায় বেড়েছে অপরাধের সংখ্যা। যে কারণে থানা গুলোতেও বেড়েছে মামলার পরিমাণ। গত মার্চ মাসে জেলা ও মহানগরের ১৭টি থানায় ৩৬৬টি মামলা দায়ের হয়েছে। যা গত ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় ৯২টি বেশি।

রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির এপ্রিল মাসের সভায় এতথ্য জানানো হয়। জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন সভায় সভাপতিত্ব করেন।

এতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা বিগত মাসে খুলনা জেলা ও মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। 

মীর আলিফ জানান, খুলনা জেলার ৯টি থানায় মার্চ মাসে ২১৪টি মামলা দায়ের হয়েছে। যা ফেব্রুয়ারি মাসে দায়ের হওয়া মামলার চেয়ে ৫৮টি বেশি। অপরদিকে, খুলনা মহানগরীর ৮টি থানায় মার্চ মাসে ১৫২টি মামলা দায়ের হয়েছে।

খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, দেশে মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার কমেছে এবং মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সম্প্রতি সিসা দূষণের বিষয়টি জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিতে পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন।

সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) সুশান্ত সরকার জানান, ঈদকে সামনে রেখে খুলনা জেলার সব থানা এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট স্থাপন ও হাট-বাজার এলাকায় পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভূমিদস্যুতা বন্ধ ও সাধারণ মানুষকে স্বস্তিতে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। 

কেএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শেখ ইমরান বলেন, নগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন। রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে যেকোন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে নগরীর মার্কেটগুলোর আশপাশে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশ বিগত দুই মাসে বেশ কিছু চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। 

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার দপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ইউসুপ আলী বলেন, ভূমিদস্যুতা রোধে আইন অনুযায়ী সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খুলনা মহানগরীতে অবৈধ থ্রি-হুইলার চলাচল নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে ভেজাল, অস্বাস্থ্যকর ও মানহীন সেমাই যেন বাজারে বিক্রি না হয় সে জন্য  বাজার তদারকি বৃদ্ধি করা হবে।

সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।