গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে শাকিল মিয়া (২২) নামের এক যুবক মারা গেছেন বলে জানা গেছে। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ, শ্বশুর বাড়ির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে শাকিল আত্মহত্যা করেছেন।
রোববার (৯ এপ্রিল) সকালে লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশন পুলিশের উপ-পরিদর্শক সেতাফুর রহমান।
এর আগে, গতকাল শনিবার রাতে গাইবান্ধা শহরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন (পশ্চিম পাশে) এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়েন শাকিল।
নিহত শাকিল সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ভগবানপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মোবাইলে কথা বলতে বলতে রেললাইন ধরে হাটছিলেন শাকিল। এসময় রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন চলে আসে। ট্রেন আসছে, ট্রেন আসছে, বলে অনেকেই চিৎকার করে তাকে ডাকাডাকি করলেও মারা যাওয়া যুবক ফোনেই মগ্ন ছিলেন। এরপর ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান ওই যুবক।
নিহতের স্বজনরা জানান, একমাস আগে প্রতিবেশী শাহিন মিয়ার মেয়ে শারমিন আক্তারকে বিয়ে করেন শাকিল। কিন্তু শাকিলকে কোনভাবেই মেনে নিচ্ছিল না শারমিনের পরিবার। উল্টো তারা শারমিনকে ছেড়ে দিতে চাপ দিচ্ছিলেন। গতকাল সকালে শাকিলকে মারধর করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
স্বজনদের ধারণা, শ্বশুর বাড়ির লোকজনের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে শাকিল আত্মহত্যা করেছেন।
নিহতের বড় ভাই সৌরভ মিয়া বলেন, বিয়ে নিয়ে কথা বলায় গতকাল সকালে আমাকে ও শাকিলকে মারধর করেছে শাকিলের শ্বশুর শাহিন ও তার লোকজন। এভাবে আমার ভাইকে হারাবো চিন্তাও করিনি। ওদের অত্যাচারেই শাকিল আত্মহত্যা করেছে। এ নিয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।
গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশন পুলিশের উপ-পরিদর্শক সেতাফুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে মারা যাওয়া যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গাইবান্ধা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়াহেদুল ইসলাম বলেন, শাকিলের মৃত্যুর বিষয় আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।