নাম শান্তিবালা দাশ। হবিগঞ্জ উপজেলার সিজামপুর ইউনিয়নের সুপড়িপাড়া এলাকার বাসিন্দা তিনি। স্বামী নেই। দুই কন্যাকে বিয়ে দিয়ে এখন একাই বসবাস করছেন। জমিজমা না থাকায় তাই জীবিকার তাগিদে শায়েস্তাগঞ্জ শহরের অস্থায়ী ডাস্টবিনগুলোতে দোকানিদের ফেলে দেওয়া পেঁয়াজ ও মরিচসহ বিভিন্ন পণ্য কুড়িয়ে সংগ্রহ করেন। পরে সেগুলো বাড়ি নিয়ে রোদে শুকিয়ে খাবারে ব্যবহার করেন এই প্রবীণ।
কুড়িয়ে পাওয়া পণ্যগুলো দোকানিদের কাছে নষ্ট হলেও শান্তিবালার কাছে মহা মূল্যবান। তিনি বিভিন্ন দোকানে দোকানে গিয়েও ভিক্ষা করেন। ভিক্ষা করে যে টাকা পান, তা দিয়ে কিছু চাল ক্রয় করে বাড়ি ফেরেন শান্তিবালা।
বয়স হওয়ায় রান্না করতে পারেন না শান্তিবালা। মাঝে মধ্যে মেয়ে এসে কিছু খাবার রান্না করে দিয়ে যান শান্তিবালাকে। এ অবস্থায় এক বেলা খেলে, অন্য বেলা উপোস থাকতে হচ্ছে তাকে। শরীরিক দুর্বলতা থাকায় আগেরমত চলাফেরাও করতে পারছেন না এই প্রবীণ।
শায়েস্তাগঞ্জ পোস্ট অফিসের সামনে অস্থায়ী ডাস্টবিনে দোকানিদের ফেলা দেওয়া পণ্য সংগ্রহকালে শান্তিবালা দাশের সঙ্গে কথা হয়। এসময় তিনি বলেন, ‘ডাস্টবিন থেকে দোকানিদের ফেলে দেওয়া বাসি পেঁয়াজ, মরিচ ও খাবার জিনিস সংগ্রহ করি। খাবারের জন্য চাল প্রয়োজন। সরকারি ভাতার কার্ড পাচ্ছি না। চাল ও ভাতার কার্ড পেলে উপকার হবে। এখানে আমার দুঃখের কথাগুলো শুনার জন্য কাউকে পাচ্ছি না।’
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন বলেন, ‘ওই প্রবীণের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। তাকে সহায়তা করা হবে।’