সারা বাংলা

পাবনা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতির পদ বাণিজ্যের অডিও ভাইরাল

পাবনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আহমেদ শরিফ ডাবলুর বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে পদ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রান্ত মুঠোফোনে কথোকথপনের বেশ কয়েকটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। 

এদিকে, অডিও ভাইরালের পর জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ ডাবলুকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকালে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

মেজবাউল হোসেন বলেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আহমেদ শরিফ ডাবলুকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সাতদিনের মধ্যে সব অভিযোগের বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে তাকে। বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

ভাইরাল হওয়া কথোপথনে জানা যায়, চাটমোহর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি গঠন নিয়ে সভাপতি প্রার্থী এসএম আব্দুল মান্নান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আহমেদ শরিফ ডাবলুর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ফেরতের দাবি করেন। ডাবলু সেই টাকা ফেরত দেবেন বলে জানান। ওই কমিটিতে মনিরুল ইসলাম মনিকে টাকার বিনিময়ে সভাপতি পদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে কমিটি সংক্রান্ত লেনদেনের একাধিক অডিও ভাইরাল হয়।

ভাইরাল হওয়া অভিওর বিষয়ে এসএম আব্দুল মান্নান বলেন, চাটমোহর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বানানোর কথা বলে গত রোজার ঈদের আগে আমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নেন ডাবলু। শুধু আমার থেকে নয়, অনেক নেতাকর্মীদের থেকে পদ দেওয়ার কথা বলে ডাবলু টাকা নেন। মাত্র দু-একজনের কাছ থেকে থেকে টাকা নেওয়ার বিষয় প্রকাশ্যে এসেছে। আমরা চাই এ ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে দলীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। 

আব্দুল মান্নানের অভিযোগ, বর্তমান সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনিকে ১০ লাখেরও বেশি টাকার বিনিময়ে পদ দেওয়া হয়েছে। ডাবলুসহ বড় বড় নেতারা এই টাকার ভাগ পেয়েছেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত পাবনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আহমেদ শরিফ ডাবলু বলেন, আমি টাকা নিয়েছি এটা সত্য, তবে টাকাগুলো হাওলাত নিয়েছি, আমার নামে থাকা অগ্রণী ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের জন্য। এখন সেটিকে পদে বাণিজ্যের কথা বলা হচ্ছে। কারণ দর্শানো নোটিশ পেয়েছি, ইতোমধ্যে জবাব দিয়েছি। এখন কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটা আমি মেনে নেবো।

ডাবলুর টাকা ধার নেবার দাবিকে হাস্যকর উল্লেখ করে এস এম আব্দুল মান্নান বলেন, তিনি জেলার নেতা হয়ে টাকা ধার নেবেন উপজেলার কোনো নেতার কাছে। সেটিও আবার ওই উপজেলার সভাপতি প্রার্থীর কাছ থেকে কমিটি গঠনের আগে। এটুকু হিসাব একজন সাধারণ মানুষ করলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে তিনি মিথ্যা কথা বলছেন।