চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে অতি তীব্র দাবদাহ বয়ে চলেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ রোববার (১৬ এপ্রিল) এই জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২ এপ্রিল থেকে টানা ১৫ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে চুয়াডাঙ্গায়।
এদিকে, প্রচন্ড দাবদাহে পুড়ছে মানুষ। ফসলের মাঠ, নদ-নদী ও খাল-বিল এবং জলাশয় শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। এমনকি গরমের কারণে সড়কের পিচ গলে যাওয়ায় চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতে তাই সড়ক বিভাগ সড়কে বালি ছিটাচ্ছে।
অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া পরিস্থিতি। আজ ১৬ এপ্রিল বিকেল ৩টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপরও গরমের পারদ উপেক্ষা করে অতি প্রয়োজনে ও পেটের দায়ে ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন লোকজন। গতকাল শনিবার এই জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গায় ৩৩.৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর ৩ ঘণ্টা পর দুপুর ১২টার দিকে তাপমাত্রা বেড়ে দাড়ায় ৪১.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিকেল ৩টায় সর্বশেষ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রতিদিনই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি। সব থেকে বিপদে আছেন এ জেলার খেটে খাওয়া মানুষ। তারা নিরুপায় হয়ে পেটের তাগিদে বাইরে বের হচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জানান,গত ২ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১৫দিন চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আপাতত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভানবা নেই। তবে, তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভানবা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা বরাবরই বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করে। ২০১৪ সালে এ জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে তাপদাহের কারণে জেলা সদর হাসপাতালসহ সব ক্লিনিক ও হাসপাতালে ডায়রিয়া এবং জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্ত রেগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
বৈরী আবহাওয়ায় শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়ার কথা বলেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহাবুবুর রহমান মিলন।