ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলা ও দুর্যোগ পরবর্তীতে করণীয় সম্পর্কে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনসহ সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিত করেছেন।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে মিটিং করে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলায় মোট ৪৬৩টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৩টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার ধারণ ক্ষমতা ৩,০৩,৬০০ জন। এছাড়া দুর্যোগকালীন সেবা দেওয়ার জন্য সিপিপির ৮৩৮০ জন ও রেড ক্রিসেন্ট এর ৫৭০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে ১১১টি মেডিক্যাল টিম।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কন্ট্রোলরুম নম্বর (০১৭০০-৭১৬৬৯৬)। সব সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জরুরি সহায়তার জন্য কর্মস্থলে থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান খান জানান, জেলায় ৪৬৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগকালীন সহায়তার জন্য জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির ফান্ডে ৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, ৩৮২ মেট্রিক টন চাল, ২৪৩ বান্ডিল ঢেউটিন মজুত রয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ১১১টি মেডিক্যাল গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া যে কোনো প্রয়োজনে ডাক্তার, সেবক-সেবিকাসহ আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের সব কর্মকর্তা কর্মচারী প্রস্তুত রয়েছেন। তাছাড়া প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুত রাখা হয়েছে।
জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের চৌকস সদস্যদের নিয়ে ফাষ্ট এইড টিম, সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টিম এবং ওয়াটার রেসকিউ টিম গঠন করা হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহায়তায় উপকূলীয় এলাকায় ১,৫০,০০০ পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া দূর্যোগ পরবর্তী সব দপ্তরের গাড়ি ও সব সরকারি-বেসরকারি আ্যম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাছাড়া সর্বস্তরের জরপ্রতিনিধিদের স্ব-স্ব এলাকায় থাকার জন্য প্রষাসনের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।