সারা বাংলা

বাসাইল ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাকিব মিয়াসহ (২৪) তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন এক গৃহবধূ। মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন তিনি। এদিকে, মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- উপজেলার বাসাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত হাকিম মিয়ার ছেলে মো. সাইফুল মিয়া (৩০) এবং জুয়েল মিয়ার ছেলে মো. শাহেদ (২৫)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার রাতের খাবার শেষে স্বামীর সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন গৃহবধূ। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসাইল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিব ও তার দুই বন্ধু গৃহবধূর স্বামীকে ডাক দেন। এসময় সাকিব জানায় তার এক স্বজন অসুস্থ, তাকে দেখতে যেতে হবে। সাকিব ওই গৃহবধূর স্বামীর মোটরসাইকেলটি চেয়ে নেন। গৃহবধূর স্বামী ঘর থেকে মোটরসাইকেলটি বের করে দেন। পরে মোটরসাইকেলটি কিছু দূর নিয়ে যাওয়ার পর পুনরায় আসামিরা গৃহবধূর স্বামীকে ডাকতে থাকেন এবং মোটরসাইকেলটির ইঞ্জিন চালু করে দিতে বলেন। এসময় ভুক্তভোগীর স্বামী মোটরসাইকেলটি স্টার্ট দিতে গেলে কৌশলে সাকিব ঘরে ঢুকে ওড়না দিয়ে গৃহবধূর মুখ বেধে ধর্ষণ করেন। পরে গৃহবধূর চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে সাকিবকে আটক করে। খবর পেয়ে সাকিবের অন্য সহযোগীরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সাকিবকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।

ঘটনার পর ভুক্তভোগী বাসাইল থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি বলেও আদালতে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করেছেন গৃহবধূ।

স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত সাকিব উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মতিয়ার রহমান গাউসের ভাতিজা।

বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মতিয়ার রহমান গাউস জানান, ধর্ষণের কথা শুনলেই আদালতও পাগল হয়, মিডিয়ারাও পাগল হয়। আসলে ধর্ষণ হয়েছে কিনা এটা কেউ জানতে চায় না। এই ধর্ষণের ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো নাটক। পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ ওই গৃহবধূকে দিয়ে এই ধর্ষণ মামলাটি করিয়েছে।

আদালতে বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. মোশারফ হোসেন খান বলেন, টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মাহবুবুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়েছেন। তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন। এছাড়াও ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন।

বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কেউ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করতে থানায় আসেনি।