কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক এ এফ এম হায়াতুল্লাহ বলেছেন, ‘কবি কাজী নজরুল ইসলাম কখনো তাঁর জীবনে যন্ত্রণা আর বেদনার কাছে পরাজয় মেনে নেননি। বাঙ্গালি জাতির মুক্তির বিষয়টি তাঁর লেখার মাধ্যমে বারবার উঠে এসেছে। কবি সব মানুষকে সাম্যের চোখে দেখতেন। তিনি একই সাথে ছিলেন বিদ্রোহ ও প্রেমের কবি।’
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘অগ্নিবীণার শতবর্ষ: বঙ্গবন্ধুর চেতনায় শাণিতরূপ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যায় খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় খুলনা জেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হায়াতুল্লাহ বলেন, ‘তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে নজরুলের অবদান ছিলো অন্যতম। উপমহাদেশের মুক্তির জন্য বিদ্রোহের বাণী সবসময় তাঁর লেখার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা যেন কবি নজরুল সম্পর্কে জানতে পরেন সে জন্য তাদেরকে বেশি করে নজরুলের বই পড়তে হবে।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোছা. তাছলিমা খাতুন, আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কার্ত্তিক চন্দ্র মন্ডল ও খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার দপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ইউসুপ আলী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন- কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের সচিব মো. রায়হান কাওছার।