আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বুধবার (২ আগস্ট) রংপুরে আসছেন। রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় মহাসমাবেশে বক্তব্য রাখবেন তিনি। ওই দিন রংপুরে সাড়ে ৩ ঘণ্টা অবস্থান করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি এ মাঠেই মহাজোটের জনসভায় বক্তব্য রেখেছিলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সফরসূচি প্রকাশ করেছেন তার একান্ত সহকারী সচিব ইসমাত মাহমুদা। সফরসূচি থেকে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে করে রংপুরের উদ্দেশে রওনা দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার দুপুর ২টায় রংপুর ক্যান্টনমেন্ট হেলিপ্যাডে অবতরণ করবে। ২টা ৫মিনিটে ক্যান্টনমেন্ট হেলিপ্যাড থেকে সড়ক পথে রংপুর সার্কিট হাউজে যাবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী ২টা ১৫ মিনিটে সার্কিট হাউজে পৌঁছে সার্কিট হাউজের মিলনায়তনে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এর পর ৩টায় প্রধানমন্ত্রী রংপুর জিলা স্কুল মাঠের জনসভার উদ্দেশে রওনা দেবেন। বিকেল ৩টা ৫মিনিটে জিলা স্কুল মাঠের মহাসমাবেশে উপস্থিত হবেন তিনি। সেখানে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন তিনি।
বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে মহাসমাবেশে বক্তব্য শেষ করে তিনি ক্যান্টনমেন্ট হেলিপ্যাডের উদ্দেশে সড়ক পথে রওনা দেবেন । সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দাবি পূরণের আশায় বুক বেঁধেছেন রংপুরের মানুষ। প্রধানমন্ত্রী এবার রংপুরে ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৫টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। সঙ্গে নতুন প্রতিশ্রুতিও দিতে পারেন তিনি।
এদিকে, গত দুই দিনে কয়েক দফায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মহাসমাবেশস্থল পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সুজিত রায় নন্দী, এস এম কামালসহ দলের অন্য নেতাকর্মীরা। সভামঞ্চ নির্মাণসহ অন্যান্য প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এই মাঠে নৌকার আদলে নির্মিত মঞ্চে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রংপুরের মহাসমাবেশকে ঘিরে উজ্জীবিত রংপুর বিভাগ আওয়ামী লীগ। এই মহাসমাবেশের মধ্যে দিয়ে তৃণমূলকে শক্তিশালী করে বিরোধী জোটের মাঠের আন্দোলন মোকাবিলা ও রংপুর বিভাগকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে রূপান্তরের স্বপ্ন নেতা-কর্মীদের। মহাসমাবেশে ১০ লাখ মানুষের উপস্থিতি হবে বলে আশা করছেন তারা।
রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এ কে এম ছায়াদত হোসেন বকুল বলেছেন, মহাসমাবেশে ১০ লাখের বেশি মানুষের সমাগমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রংপুর বিভাগের ৫৮টি উপজেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ হাজার মানুষ আনার প্রস্তুতি আছে। জনসভা সফল করতে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় বর্ধিত সভাও করা হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতারা ছাড়াও এমপি ও মন্ত্রীরা সবাই রংপুরের এই সমাবেশ সফল করতে বিভিন্নভাবে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে মঙ্গাপীড়িত এই অঞ্চলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এক যুগ পর প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উত্তরবঙ্গের জনপদ আজ উৎফুল্ল ও আনন্দিত।