সারা বাংলা

মিছিলে মুখরিত রংপুর নগরী 

মিছিলে মিছিলে মুখরিত রংপুর নগরী। স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত চারপাশ। ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে রংপুর জিলা স্কুল মাঠের দিকে যাচ্ছে হাজারো মানুষ। আজ বুধবার (২ আগস্ট) বিকেল ৩টায় ওই মাঠে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় এ মহাসমাবেশকে ঘিরে শহরজুড়ে ব্যস্ততা।

শুধু রংপুর নয়, আশপাশের জেলাগুলো থেকে আসা অগণিত মানুষ ছুটছেন সমাবেশস্থলের দিকে। আয়োজকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সমাবেশে ১০ লাখের বেশি মানুষের সমাগম হবে। 

সমাবেশকে ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো হয়েছে পুরো রংপুর শহর। প্রতিটি মোড়ে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। টহল দিচ্ছে পুলিশ। ১ হাজারেরও বেশি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে সমাবেশস্থল ও এর আশপাশে। 

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে করে রংপুরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর ২টায় তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রংপুর ক্যান্টনমেন্টের হেলিপ্যাডে অবতরণ করবে। দুপুর ২টা ৫ মিনিটে সেখান থেকে সড়কপথে রংপুর সার্কিট হাউসের উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।

সোয়া ২টার দিকে সার্কিট হাউসে পৌঁছে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেল ৩টায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মহাসমাবেশ স্থলে পৌঁছাবেন। প্রথমে সেখানে রংপুর বিভাগের উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। রংপুরে ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন সরকারপ্রধান। মহাসমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার পর বিকেলে আবার একই পথে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। 

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানিয়েছেন, জনসভাকে ঘিরে সব ধরনের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। জনসভাস্থল ছাড়াও পুরো নগরীর গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথ ও মোড়ে সতর্ক অবস্থায় আছে পুলিশ। উঁচু ভবনের ছাদে এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর প্রতি ফ্লোরে থাকবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশকে ঘিরে রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হলে তা কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে বলে জানিয়েছেন আবু মারুফ।