সারা বাংলা

জিরার কেজি ১১০০ টাকা, যা বলছেন ব্যবসায়ীরা

দিনাজপুরের হিলি বন্দর বাজারে জিরার কেজি ১১০০ টাকা। ৮০০ টাকার জিরা বর্তমান বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজিতে। হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা। 

মসলা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি দামে কিনছি, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। আমদানিকারকরা বলছেন, শুল্ককর দ্বিগুণ করাতে দাম বৃদ্ধি হচ্ছে। ১৫ মেট্রিকটন জিরা আটকে আছে বন্দরে।  আগের শুল্কে বন্দর থেকে জিরা খালাসের দাবি আমদানিকারকদের।  

বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে হিলির মসলা বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে জিরার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৩০০ টাকা। ৮০০ টাকার জিরা বর্তমান বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজি। গত বছরেও এই জিরার কেজি ছিলো ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে। এভাবে দাম বাড়ায় চরম বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ।  

বর্তমান জিরার শুল্ককর দ্বিগুণ ১৮৫০ ডলারের পরিবর্তে সরকার বৃদ্ধি করেছেন ৩৫০০ ডলারে। যার কারণে ক্ষতিতে আমদানিকারকরা। বর্তমান বন্দরে আটকে আছে ১৫০০ মেট্রিকটন জিরা। আগের শুল্ক করে এসব জিরা খালাসের দাবি করছেন আমদানিকারকরা।

হিলি বাজারে জিরা কিনতে আসা আব্দুল হালিম বলেন, বাজারে মসলা কিনতে আসছি, কিন্তু জিরার দাম শুনে মাথা ঘুরে গেলো। এর আগেও ৮০০ টাকা কেজি দরে কিনেছিলাম। আজ তা ১১০০ টাকা কেজিতে কিনতে হলো। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে সাধারণ ক্রেতাদের কি অবস্থা হবে?

একজন ভ্যানচালক মজিবর রহমান বলেন, আমরা গরীব মানুষ ভ্যান চালে খাই। এর আগে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় ১০০ গ্রাম জিরা নিয়েছিলাম, পর ৭০ টাকা শো। আজ ১১০ টাকায় ১০০ গ্রাম জিরা কিনলাম। এতো দাম বাড়লে আমরা কি করে চলবো?

হিলি বাজারের বিসমিল্লাহ মসলা ঘরের মালিক আওলাদ হোসেন শাওন বলেন, কিছুদিন আগেও আমরা ৯০০ টাকা কেজি জিরা বিক্রি করেছি। এখন দাম বেড়ে গেছে, আমরা ১০৮০ টাকা কেজি পাইকারি ক্রয় করে তা ১০৯০ থেকে ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। কি কারণে দাম বাড়ছে তা আমরা বলতে পারছি না। তবে বন্দরে নাকি শুল্ক বাড়ার কারণে আমদানি কারকরা জিরা খালাস করছেন না।

এবিষয়ে হিলির সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট ও আমদানি-রপ্তানিকারক রবিউল ইসলাম সুইট বলেন, হিলি বন্দরে জিরা নিয়ে আমরা বিপাকে পড়েছি। গত এক সপ্তাহ আগে রাজস্ব বোর্ড থেকে হিলি কাস্টমসে নির্দেশনা আসছে, জিরার শুল্কায়ন বৃদ্ধির। আগে আমরা ১ হাজার ৮৫০ ডলারে জিরা আমদানি করতাম। বর্তমান তা বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুণ ৩ হাজার ৫০০ ডলারে আমদানি করতে হবে। বিগত দিনে ৩০ মেট্রিকটন জিরা আমদানিতে ৩২ থেকে ৩৩ লাখ ডলার শুল্ক জমা দিতে হতো। বর্তমান একই পরিমাণ জিরার শুল্ক দিতে হবে প্রায় ৬৫ থেকে ৬৭ লাখ ডলারে। এর কারণে জিরার দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রায় ১৫ মেট্রিকটন জিরা বন্দর অভ্যন্তরে আমরা আমদানি করে রেখেছি। এগুলো আমরা খালাস করছি না। যদি সরকার এই জিরাগুলো পূর্বের শুল্ক নেয় তাহলে জিরাগুলো খালাস করবো।