সারা বাংলা

টানাবর্ষণে পানিবন্দি ঈদগাঁওয়ের মানুষ

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় টানা বৃষ্টি ও পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে বিভিন্ন এলাকা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ঈদগাঁও সদর-জালালাবাদ-পোকখালীসহ তিন ইউনিয়নের মানুষ। 

বৃষ্টির কারণে এসব এলাকার সড়কেও বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ইসলামাবাদের কবি নুরুল হুদা সড়কের গার্লস্কুল সংলগ্ন এলাকাটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ঈদগাঁও-গোমাতলী সংযোগ সেতুর পাশে কাঠের সেতুটি ভেঙে গেছে। এতে চলাচল করতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। জালালাবাদের রাস্তা ভেঙে যাওয়ার ফলে পানিবন্দি জীবন যাপন করছেন সাধারণ মানুষ। ভাঙা সড়ক ও ব্রিজ তলিয়ে যাওয়ার কারণে যানবাহন নিয়ে চলাচল করতে না পারায় নানা উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছে এসব ইউনিয়নের বাসিন্দারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত তিনদিন ধরে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যায় বৃহৎ বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারে অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সেখানে বর্তমানে কর্মমুখী লোকজন নৌকা ব্যবহার করে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল করছেন। 

স্থানীয় সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘ব্যস্তবহুল ঈদগাঁও বাজারে গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত আর পাহাড় থেকে আসা ঢলের পানিতে বাশঁঘাটা সড়ক, কাপড়ের গলি, তরকারি বাজারের প্রায় অর্ধশতাধিক দোকান পানিবন্দি। এতে বিপুল পরিমাণ মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’

জালালাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, ইউনিয়নের ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া দোকানপাট, বসতঘর তলিয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন বালির বস্তা দিয়ে কোনরকম রক্ষা করেছে ঢলের পানি। দ্রুত সময়ে সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে ব্যাপক  ভাঙনের আশংকা দেখছেন স্থানীয়রা। 

এদিকে ঈদগাহ হাইস্কুলেও এখন হাঁটু পানি। এসব ইউনিয়নের দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে। ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নিচ তলার প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে পানি প্রবেশ করেছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ঈদগাঁওর জাগির পাড়া, জালালাবাদ সওদাগর পাড়া বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে একাকার। 

জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ জানান, বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে তার এলাকায় কয়েকটি সড়কে ভাঙন দেখা দিয়েছে। দ্রুতগতিতে সংস্কার করা না হলে এসব ভাঙন আরো বড় আকার ধারণ করতে পারে।