চট্টগ্রাম জেলায় ভয়াবহ বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সাধারণ মানুষকে উদ্ধার অভিযানের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ত্রাণ, চিকিৎসা সহায়তা দিতে কাজ শুরু করেছেন রামু সেনানিবাসের প্রায় দেড় হাজার সেনা সদস্য।
বুধবার (৯ আগস্ট) সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুউদ্দিন নদভী বলেন, স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া উপজেলায়। বন্যাকবলিত মানুষের কষ্ট লাঘবে ও বন্যাদুর্গত এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনার লক্ষ্যে আমরা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) এবং কক্সবাজার রামুর জিওসির সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বন্যাদুর্গত লোকজনকে উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন। সাতকানিয়া লোহাগাড়ার বন্যাকবলিত এলাকায় উদ্ধারাভিযানের জন্য ইতিমধ্যেই কক্সবাজার রামু ক্যান্টনমেন্ট থেকে দেড় হাজার সেনাবাহিনী সদস্য কার্যক্রম শুরু করেছেন।
এদিকে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা দ্রুতই বন্যাকবলিত এলাকায় পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন এই সংসদ সদস্য।
এদিকে, দক্ষিণ চট্টগ্রামের দোহাজারী, লোহাগাড়া এবং সাতকানিয়া উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। চট্টগ্রামে থেমে থেমে এখনও বৃষ্টি হচ্চে। প্রধান সড়কের ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ায় চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজার এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পালন জানান, গত ৩ আগস্ট থেকে চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। ৩ আগস্ট থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৬৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজও (বুধবার) বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।