সারা বাংলা

দেবে গেছে আরসিসি অংশের ৩০ মিটার স্পার

কুড়িগ্রামের রাজারহাটের বুড়িরহাটে তিস্তা নদীর প্রবল পানির তোড়ে দেবে গেছে আরসিসি অংশের ৩০ মিটার স্পার। ১৯৯৫ সালে নির্মিত আরসিসি স্পারটির দৈর্ঘ্য ৬০ মিটার। এরমধ্যে গতকাল শনিবার (২৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নদীর অংশে থাকা ৩০ মিটার দেবে যায়।

এদিকে, স্পারটি দেবে যাওয়ায় তিস্তার ভাঙনের হুমকিতে পড়েছেন বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের রামহরি, মেদনী, কালীরমেলাসহ কয়েকটি গ্রামের ঘর-বাড়ি। 

কনক্রিটের আরসিসি স্পারটি দেবে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লহ আল মামুন। 

আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উজান থেকে নেমে আসা পানির তীব্র স্রোতের আঘাতে স্পারটির মাথার অংশে ৩০ মিটার দেবে গেছে। বাকি ৩০ মিটার রক্ষায় বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলানোর কাজ চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গত শুক্রবার থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবল স্রোতে প্রবাহিত হচ্ছে। রাজারহাট উপজেলার বুড়িরহাট এলাকায় তিস্তার বামতীরে নদী শাসনের জন্য নির্মিত ১৫০ মিটার মাটির বাঁধের মাথায় ৩০মিটার করে দুই অংশে ৬০ মিটার আরসিসি স্পারের ওপর পানির প্রবল চাপ পড়ে। পানির তীব্র চাপ অব্যাহত থাকায় প্রথমে মাথার অংশে ৩০ মিটার স্পার হেলে যায়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পানিতে সেটি দেবে যায়।

স্থানীয়রা জানান, স্পার ও বাঁধের বাকী অংশ রক্ষা করা না গেলে ভাঙনের কবলে পড়বে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের ঘর-বাড়িসহ নানা স্থাপনা।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ১৫০ মিটার বাঁধ ও আরসিসি স্পারের বাকি ৩০ মিটার রক্ষায় রাতদিন কাজ চলমান থাকবে। আশা করছি বাঁধ ও বাকি আরসিসি স্পার রক্ষা করা সম্ভব হবে।