সারা বাংলা

নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের মামলায় কনস্টেবলসহ কারাগারে ৪

মাদারীপুরে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ বাণিজ্যে দুদকের দায়ের করা মামলায় ৪ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন শুনানি শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

মামলার আসামিরা হলেন- মাদারীপুরের সাবেক কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম, সাবকে টিএসআই গোলাম রহমান, পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিকেল সহকারী পিয়াস বালা ও মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি গ্রামের মৃত সফিউদ্দিন ফরাজীর ছেলে হায়দার ফরাজী।

এছাড়া এই মামলায় অপর দুই আসামি মাদারীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার ও সাবেক কনস্টেবল নুরুজ্জামান সুমন আজ আদালতে হাজির হননি।

মাদারীপুর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিং জানান, ২০১৯ সালের ২৮ মে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পুলিশ হেড কোয়াটার্স। অসংখ্য নারী-পুরুষ আবেদন করলে ওই বছরের ২৬ জুন ৩১ জন পুরুষ ও ২৩ জন নারীকে কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে ২০১৯ সালের ২৪ জুন থেকে ২৬ জুন কয়েক ধাপে ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আসামিদের কাছ থেকে গচ্ছিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ হেড কোয়ার্টাসের একটি বিশেষ দল। পরে অনুসন্ধানে পুলিশ হেড কোয়াটার্স জানতে পারে উদ্ধারকৃত টাকা বিভিন্ন চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের সুপারিশে ২০২৩ সালের (চলতি বছরের) ৫ জুলাই দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম। 

এই মামলায় জাহিদুল ইসলাম, গোলাম রহমান, পিয়াস বালা ও হায়দার ফরাজী উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নেন। উচ্চ আদালতের জামিন শেষ হলে আজ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে উভয়পক্ষের শুনানি গ্রহণ করেন আদালত। শুনানি শেষে ৪ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এদিকে দুদকের কাজ শেষে অভিযোগপত্র পেলে বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী।