বগুড়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী নাহিদুল ইসলাম নয়ন হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার রানীনগর মাস্টারপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাবের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, গাবতলীর মড়িয়া গ্রামের আব্দুস সামাদ মন্ডল ও সেলিম হোসেন।
নিহত নয়ন গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের চকমড়িয়া প্রামাণিকপাড়ার মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। নয়নের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা, অস্ত্র, বিস্ফোরক ও ডাকাতিসহ মোট ১৯টি মামলা ছিল।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের ১১ মার্চ সন্ধ্যায় সন্ত্রাসী নয়নকে গাবতলীর ত্রিমোহনী দেবোত্তরপাড়া গ্রামের নির্জনস্থানে লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে নয়নের আত্মীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৭টায় মারা যায়। এ ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ব্যক্তিকে প্রধান আসামি করে নয়নের মা নারগিস বেওয়া ১৩ মার্চ গাবতলী থানায় মামলা করেন। মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
পরে ২০ মার্চ ঢাকা, গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে হত্যায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। ওই চারজন ২২ মার্চ বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর গত ৩ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার জুম্মাবাড়ি থেকে নয়ন হত্যা মামলার প্রধান আসামি আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
বগুড়া র্যাব-১২ কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নয়ন হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আব্দুস সামাদ মন্ডল ও সেলিম হোসেনের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর গাবতলীর রানীনগর মাস্টারপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের গাবতলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।