সুনামগঞ্জ পৌর শহরের সুরমা নদীর পশ্চিমে শহরতলী গ্রামের নাম জগন্নাথপুর। এই গ্রামের পূর্ব দিকে বয়ে যাওয়া সুরমার ভাঙনের কবলে পড়ে ভেঙে গেছে হেঁটে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি। নদী ভাঙন অব্যাহত থাকায় নদী তীরের সড়কটি বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
সড়কপথে যোগাযোগ সচল করতে গ্রামের মধ্যখান দিয়ে ভিন্ন সড়ক নির্মাণের জন্য মাটি ফেলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান। তবে সরকারি অনুদান না পাওয়ায় দীর্ঘ দিন মাটির সড়কটি একই অবস্থায় পড়ে আছে। বর্ষা মৌসুমে অল্প বৃষ্টিতে সেই সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। কাদা মাড়িয়ে সেই সড়ক দিয়ে চলা কষ্টকর।
জগন্নাথপুরের বাসিন্দা মোহাম্মদ জানু মিয়া রাইজিংবিডিকে বলেন, এই সড়ক দিয়ে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যেতে কষ্ট হয়। অনেক সময় তাদের পোশাক ভিজে স্কুলে যাওয়া হয় না। বাসিন্দারা হাটে-বাজারে যেতে পারে না। তাদের চলাচলে কষ্ট হয়।
নেপাল চন্দ্র বর্মণ নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, কাদার রাস্তা পেরিয়ে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া কষ্টসাধ্য। এতে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজা রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘চেষ্টা করছি মঈনপুর থেকে জগন্নাথপুর গ্রাম ও ইব্রাহিমপুরের দক্ষিণ দিক পর্যন্ত ব্লক ফেলে নদীর ভাঙন রোধ করতে। আর গ্রামের রাস্তা নিয়ে পরিকল্পনা আছে, এটা পাকা করতে হবে। কিন্তু সরকারিভাবে বরাদ্দ পাচ্ছি না। হয়ত সামনে নির্বাচন, নির্বাচনের আগে যদি সরকার কিছু কাজ করায়, তাইলে কিছু প্রজেক্ট পেতে পারি। বরাদ্দ পেলে জগন্নাথপুর গ্রামের রাস্তাটা করব।’
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘জগন্নাথপুর গ্রাম ভাঙনপ্রবণ এলাকার মধ্যে। কিন্তু সেখানে এই বছরে আপাতত প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, অনুমোদন দিলে সেখানে কাজ করব।’