সারা বাংলা

ময়মনসিংহে স্যালাইন সংকট

ময়মনসিংহের ফার্মেসিগুলোতে সব ধরনের (ডিএ, নরমাল, ডিএনএস, এইচএস ও সিএস) স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সিটি কর্পোরেশনসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলাতেও দেখা দিয়েছে এই সংকট।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নগরীর চরপাড়া, দূর্গাবাড়ি রোডসহ বিভিন্ন এলাকার ফার্মেসীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরবরাহ বন্ধ থাকায় স্যালাইন বিক্রি করতে পারছেন না তারা। কিছু দোকানে স্যালাইন পাওয়া গেলেও নির্ধারিত দামের থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা।

কয়েকজন ফার্মেসীর মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় সারাদেশে স্যালাইনের চাহিদা বেড়ে গেছে। এদিকে, কোম্পানিগুলো চাহিদা অনুপাতে স্যালাইন উৎপাদন করতে পারছে না। এই সুযোগে কিছু অসাধু দোকানি স্যালাইন মজুত করে রেখেছেন। তারা ৮৭ টাকা দামের স্যালাইন কয়েক গুণ বেশি দামে বিক্রি করছেন।

নগরীর চরপাড়া এলাকার মিতালী ফার্মেসীতে কর্মরত একজন বলেন, চাহিদা অনুযায়ী কোম্পানিগুলো স্যালাইন সরবরাহ করতে পারছে না। এতে বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। কিছু ব্যবসায়ী ওষুধ কোম্পানি থেকে সরাসরি সরবরাহ পেলেও সাধারণ দোকানিরা মোটেই স্যালাইন পাচ্ছেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ফার্মেসির মালিক অভিযোগ করেন, সাধারণ দোকানিরা স্যালাইন না পেলেও নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ ব্যবসায়ীর কাছে স্যালাইনের মজুত রয়েছে। তারা কোম্পানি থেকে সরাসরি কিনে নিচ্ছে। পরে বাজারে সংকট তৈরি করে ৮৭ টাকার স্যালাইন ২৫০-৩০০ টাকায় বিক্রি করছে। 

নগরীর চরপাড়া এলাকার কয়েকটি ফার্মেসীর সামনে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন রোগীর স্বজনেরা স্যালাইন খুঁজতে এসে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। 

আজিজুল নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, আমার রোগীকে একটা বেসরকারি হাসপাতালের অপারেশন করাচ্ছি। ডাক্তার অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে স্যালাইন আনতে বলেছেন। অনেকগুলো দোকানে খোঁজ করেছি কিন্তু স্যালাইন পাইনি।

সিরাজ নামে আরেক রোগীর স্বজন অভিযোগ করে বলেন, অনেকগুলো ওষুধের দোকান খোঁজে একটিতে পেয়েছি। ৮৭ টাকার স্যালাইন ৩০০ টাকা রেখেছে।

ময়মনসিংহে জেলা সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম বলেন, বাজারে স্যালাইন সংকটের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেউ অবৈধভাবে মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে।