খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেছেন, ‘পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি পর্যটনের জন্য বড় ধরনের অন্তরায়। পার্বত্য জেলাগুলোকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হলে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করতে হবে।’
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাঙামাটি শহরের হোটেল সুফিয়ার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত রাঙামাটি পর্যটন শিল্পের সম্ভবনা ও উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দীপংকর তালুকদার বলেন, মানুষ আগে কম ভ্রমণে যেত। বর্তমানে ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ভ্রমণের দিকে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটন শিল্পকে কি করে আরো সুন্দর করা যায়, পর্যটকদের আর্কষণ করা যায় এবং দেশের রেভিনিউ বাড়ানো যায় এগুলো নিয়ে আমরা চিন্তা ভাবনা করছি।
তিনি আরও বলেন, পাহড়ের চূড়ায় সুন্দর দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা করতে হবে যাতে প্রথমবার কোনো পর্যটক আসলে বুঝতে পারেন তারা একটি ভালো জায়গায় এসেছেন এবং যেমন চেয়েছিলেন সেই-রকম একটি জায়গায় প্রবেশ করেছেন। রাঙামাটিকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হলে আমাদের অনেকগুলো নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং মানুষকে জানাতে হবে। বিশেষ করে শহর পরিষ্কার রাখা, সবুজ রাখা, ছোটখাটো চুরি বন্ধ করা ও বিভিন্ন আবাসিক হোটেলের ভেতরে নোংরা কাজ বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, হোটেল চালানোর জন্য অনেক হোটেল মালিক নোংরামি করে থাকেন। নোংরামি করলে মানুষ সেখানে যাবে না। এসময় থাইল্যান্ড নোংরামির দিক থেকে এক নম্বরে ছিল। সেখানে মানুষ যাওয়া বন্ধ হওয়ার পর থাই সরকার অনেকাংশে নোংরামি কমানোর পর এখন মানুষ যাচ্ছে। শহর পরিষ্কার রাখা কেবল পৌরসভা কিংবা জেলা পরিষদের কাজ নয় বরং আমাদের সবার দায়িত্ব। সবাই মিলে শহর পরিষ্কার রাখা লাগবে। অবৈধ অস্ত্র এবং চাঁদাবাজি বন্ধে এখানে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবিসহ সবাই কাজ করছে। আমাদেরকেও সচেতন হতে হবে এবং সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে।
রাঙামাটি পর্যটন শিল্প সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, সমবায় কর্মকর্তা মৌসুমী ভট্টাচার্যসহ স্থানীয় উদ্যোক্তারা।
এর আগে সুফিয়া হোটেলের নিচ তলায় রাঙামাটি পর্যটন শিল্প সমবায় সমিতি লিমিটেডের অফিস উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য।