বিয়ে করার ১ মাস ৭ দিনের মাথায় বর্ষা খাতুন (১৮) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পাবনা সদর উপজেলার মজিদপুর গ্রামে তাকে হত্যা করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। মৃত বর্ষা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের মজিদপুর গ্রামের বিষু প্রামাণিকের মেয়ে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ও শ্বশুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ১ মাস ৭ দিন আগে পাবনার আতাইকুলা থানার মৌপাড়া গ্রামের শাহেদ আলীর ছেলে মির্জা মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে বর্ষার বিয়ে হয়। তিনি গত এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং টেবুনিয়া শামছুল হুদা ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হন। কলেজে ভর্তি জনিত কাজের জন্য বর্ষা বেশ কিছু দিন ধরে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। রোববার বর্ষার স্বামী শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। তারা রাতের খাওয়া শেষে এক ঘরে ঘুমাতে যান। রাত ৪টার দিকে বর্ষা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তার স্বামী বাড়ির সদস্যদের জানান। পরে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে দেখেন বর্ষার মৃতদেহ বিছানার উপর পড়ে আছে।
নিহতের চাচাত ভাই মাহফুজুর রহমান জানান, বর্ষাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। কারণ তার ঘাড়, গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান তারা।
পাবনা সদর থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও তাকে হত্যা করা হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মির্জা মাহফুজুর রহমান এবং তার শ্বশুর শাহেদ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।