সারা বাংলা

কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল, খালি নেই হোটেল-মোটেল

টানা তিনদিনের ছুটিতে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবন, গঙ্গামতির চর ও বৌদ্ধ বিহারসহ সর্বত্র এখন পর্যটকদের আনাগোনা। ইতিমধ্যে কুয়াকাটার শতাধিক হোটেল-মোটেলের সব কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সকাল থেকেই আগত পর্যটকেরা সমুদ্রের নোনা জলে উন্মাদনায় মেতেছেন।

কেউ ঘুরছেন ঘোড়া কিংবা ওয়াটার বাইকে। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন সমুদ্রের তীরের আছড়ে পড়া ঢেউ। সৈকতে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।

পর্যটকের ঢলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা বেড়েছে। তবে, অনেক পর্যটক খাবারের দাম ও হোটেল ভাড়া বেশি রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।

ঢাকার কামরাঙ্গীর চর থেকে আসা আজিজুল মিয়া বলেন, গতকাল রাতে কুয়াকাটা এসেছি। বেশ কয়েকটি হোটেলে ঘুরেও কোথাও কক্ষ পাইনি। পরে কলাপাড়ায় একটি হোটেলে থেকেছি।

তিনি আরও বলেন, কুয়াকাটা এসে সমুদ্রের তীরে আছড়ে পড়া ঢেউ দেখতে বেশ ভালো লাগছে। তবে, হোটেল ভাড়া ও খাবারের দাম বেশি রাখা হচ্ছে।

টাঙ্গাইল থেকে আসা মুরাদ হোসেন বলেন, এখানে পরিবেশ দারুণ। বন্ধুরা মিলে সমুদ্রের ঢেউয়ে হই-হুল্লোড়ে মেতেছি। তবে হোটেলের ভাড়া আমাদের থেকে দ্বিগুণ রাখা হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমাদের টহল অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি পর্যটকরা নিরাপদে তাদের ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবেন।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, হোটেল ভাড়া ও খাবারের দাম বেশি রাখার অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।