সারা বাংলা

প্রধান শিক্ষকের অতিরিক্ত টাকা নেওয়া অভিযোগ: মারপিটে তদন্ত স্থগিত

মারপিট আর হাঙ্গামায় স্থগিত হয়ে গেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত। জানা গেছে, প্রধান শিক্ষকের লোকজনের মারপিটে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের এক সদস্যকে আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে পাবনার চাটমোহর উপজেলার কাটেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে তদন্ত কমিটির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগে জানা গেছে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ বোর্ড নির্ধারিত ২১০ টাকার স্থলে ৪০০ করে আদায় করেন। এ ছাড়াও, তিনি অফিস কক্ষে বসেই ধূমপান করেন। 

এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের ৪ জন সদস্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর রাজশাহীর উপ-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পাবনা জেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন উপ-পরিচালক। 

তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ছিল তদন্ত দিন। দুপুর ১২টার দিকে জেলা শিক্ষা অফিসার রোস্তম আলী হেলালী ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মগরেব আলীসহ অন্যরা তদন্ত করতে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা স্কুলে পৌঁছানোর পরপরই হাঙ্গামা শুরু হয়। প্রধান শিক্ষকের লোকজন অভিযোগকারীদের ওপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

মারপিটে অভিযোগকারী স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রেহেনা খাতুন (৩৫), মনিরুল ইসলাম মনি (২৭) ও আজিদুল (৪০) আহত হন। এদের মধ্যে মনিরুলকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না থাকায় জেলা শিক্ষা অফিসার তদন্ত কাজ স্থগিত করে চলে যান। 

অভিযোগকারী একজন আব্দুল মজিদ জানান, প্রধান শিক্ষক নানা দুর্নীতির সাথে জড়িত। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ থেকে বাঁচতে এবং তদন্ত বানচাল করতেই তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে। 

‘অভিযোগ সত্য নয়’ দাবি করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান জানান, অভিযোগকারীরাই হাঙ্গামার সৃষ্টি করেছে। তারা মিথ্যা অভিযোগ করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছে।

চাটমোহর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মগরেব আলী জানান, তদন্তের কাজে জেলা শিক্ষা অফিসার স্কুলে পৌঁছানোর পরই হাঙ্গামা শুরু হয়। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক দেখেই তদন্ত স্থগিত করেন তিনি। পরবর্তীতে দুপক্ষকে উপজেলা পরিষদে এনে তদন্ত করা হবে।