সারা বাংলা

যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ পুনর্গঠনে প্রতিষ্ঠিত সিসিডিবির ৫০ বছর পূর্তি

পাঁচ দশক আগে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে যাত্রা শুরু করা খ্রীষ্টিয়ান কমিশন ফর ডেভলপমেন্ট ইন বাংলাদেশের (সিসিডিবি) ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে। এ উপলক্ষে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে শনিবার (২১ অক্টোবর) মাসব্যাপী কর্মসূচীর উদ্বোধন করেছে সংস্থাটি।

বেলা ১১টায় সাভারের আশুলিয়ার বারইপাড়ায় সিসিডিবি হোপ ফাউন্ডেশনে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সিসিডিবি এই ৫০ বছরে মানুষের কাছে সহমর্মিতা ও আশার এক আলোকবর্তিকা হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে। পাঁচ দশকে সংগঠনটি তার সদস্য ও অংশীদারদের নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে। ৫০ বছর উদযাপনের মাধ্যমে সিসিডিবি, তার সেবা ও পথচলার স্মৃতিচারণ করছে। 

তারা বলেন, এই পথচলার সঙ্গে জড়িত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে, যাদের মাধ্যমে তারা এই মাইলফলকে পৌঁছাতে পেরেছে এবং যা নতুন প্রজন্মকে উন্নয়নের এই মশাল সামনে এগিয়ে নেওয়ার অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। সিসিডিবি তার পথচলার ৫০ বছরকে স্মরণীয় করে রাখতে মাসব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান কার্যক্রমের পরিকল্পনা করেছে।

সিসিডিবির ৫০ বছরের জমকালো এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের বাংলাদেশ থিওলজিক্যাল সেমিনারি এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ড. জন সরকার, সিসিডিবি কমিশনের চেয়ারম্যান ডেভিড এ. হালদার ও সিসিডিবির নির্বাহী পরিচালক জুলিয়েট কেয়া মালাকার। অনুষ্ঠানের শুরুতে সিসিডিবির নির্বাহী পরিচালক জুলিয়েট কেয়া মালাকার সিসিডিবির ৫০ বছর উদযাপনে সবাইকে স্বাগত জানান।

সিসিডিবির নির্বাহী পরিচালক জুলিয়েট কেয়া মালাকার বলেন, ‘পাঁচ দশক আগে একদল স্বপ্নদ্রষ্টার দেখা স্বপ্নের আলোকে, বাংলাদেশের যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সিসিডিবির যাত্রা শুরু হয়। এই ৫০ বছরে আমরা অসংখ্য মানুষকে ও কমিউনিটিকে আমাদের এই উন্নয়নযাত্রায় সম্পৃক্ত করতে পেরেছি। আমরা বর্তমানে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর দরিদ্র বিমোচন, অসমতা এবং পরিবেশগত নানাবিধ সমস্যা মোকাবিলায় কাজ করে চলেছি।’

সিসিডিবি কমিশনের চেয়ারম্যান ডেভিড এ. হালদার বলেন, ‘৫০ বছরের এই পথচলা সিসিডিবির জন্য মাইলফলক। সিসিডিবির জন্য এই উদযাপন, অতীতকে স্মরণ করা, বর্তমানের ওপর দৃষ্টিনিবদ্ধ করা এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করার কার্যকরী সুযোগ। এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কেন্দ্রীয়ভাবে এবং বিভিন্ন প্রকল্প এলাকায় তাৎপর্যের সঙ্গে উদযাপিত হতে যাচ্ছে।’